ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
বিমলার পত্র
“যুবরাজ! আমি প্রতিশ্রুত ছিলাম যে, এক দিন আপনার পরিচয় দিব। এখন তাহার সময় উপস্থিত হইয়াছে।
ভরসা করিয়াছিলাম, আমার তিলোত্তমা অম্বরের সিংহাসনারূঢ় হইলে পরিচয় দিব। সে সকল আশা ভরসা নির্ম্মূল হইয়াছে। বোধ করি যে, কিছু দিন মধ্যে শুনিতে পাইবেন এ পৃথিবীতে তিলোত্তমা কেহ নাই, বিমলা কেহ নাই। আমাদিগের পরমায়ু শেষ হইয়াছে।
এই জন্যই এখন আপনাকে এ পত্র লিখিতেছি। আমি মহা পাপীয়সী, বহুবিধ অবৈধ কার্য্য করিয়াছি, আমি মরিলে লোকে নিন্দা করিবে, কত মত কদর্য্য কথা বলিবে, কে তখন আমার ঘৃণিত নাম হইতে কলঙ্কের কালি মুছাইয়া তুলিবে? এমন সুহৃদ কে আছে?
এক সুহৃদ আছেন, তিনি অচিরাৎ লোকালয় ত্যাগ করিয়া তপস্যায়, প্রস্থান করিবেন। অভিরায় স্বামী হইতে দাসীর কার্য্যোদ্ধার হইবে না। রাজকুমার! একদিনের তরেও আমি ভরসা করিয়াছিলাম, আমি, আপনার আত্মীয়জনমধ্যে গণ্য হইব। একদিনের তরে আপনি আমার আত্মীয়জনের কর্ম্ম করুন। কাহাকেই বা এ কথা বলিতেছি?