পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8२ দুর্গেশনন্দিনী ইহার চতুর্দশ বৎসর ধরে রাজপুরুষের পিতার সন্ধান পাউলু পূৰ্বপ্রচারিত রাজাজ্ঞানুসারে মাতাকে সংবাদলিপি পাঠাইলেন । পিষ্ট: দিল্লীতে ছিলেন। শশিশেখর ভট্টাচার্য নাম ত্যাগ করিয়া অভিরামস্বামী নাম ধারণ করিয়াছিলেন । যখন এই সংবাদ আসিল, তখন মাত। স্বর্গারোহণ করিয়াছিলেন। মন্ত্রপুতি ব্যতীত বাঙ্গর পাণিগ্রহণ হইয়াছে, তাহার যদি স্বর্গারোহণে অধিকার থাকে, তবে মাতা স্বর্গারোহণ করিয়াছেন সন্দেহ নাই। পিতৃসংবাদ পাইলে আর কাশীধামে আমার মন তিষ্ঠিল না। সংসার মধ্যে কেবল আমার পিতা বর্তমান ছিলেন, তিনি সদিও দিল্লীতে, তবে আমি আর কাছার জন্ত কাশীতে থাকি ; এইরূপ চিন্ত করিয়া আমি একাকিনী প্রিন্থদর্শনে ধাত্রা করিলাম। পিতা আমার গমনে প্রথমে রুষ্ট হলেন; কিন্তু, আমি বহুতর রোদন করায় আমাকে তাহার সেবার্থ নিকটে থাকিতে অনুমতি করিলেন । ‘মাহর’ নাম পরিবর্তন করিয়া বিমলা নাম রাবিলেন। আমি পিত্ৰালয়ে থাকির পিতার সেবার বিধিমতে মনোনিবেশ করিলাম ; তাহার যাতাতে তুষ্টি জন্মে তাহাতে সর করিতে লাগিলাম। স্বার্থসিদ্ধি কিংবা পিতার স্নেহের আকাঙ্ক্ষায় এইরূপ করিতাম, তাহা নহে ; বস্তুতঃ পিতৃসেবায় আমার আন্তরিক আনন্দ জমিত ; পিতা ব্যতীত আমার আর কেত ছিল না। মনে করিতাম, পিতৃসেব অপেক্ষ আর মুখ সংসারে নাই। পিতাও আমার ভক্তি দেখিয়ুই হউক, বা মনুষের স্বভাবসিদ্ধ গুণবশতই হউক, আমাকে স্নেহ করিতে লাগিলেন। স্নেহ সমুদ্রমুখী নদীর ন্তায় ; ঘত প্রবাহিত হয়, তত, বৰ্দ্ধত হইতে থাকে। যখন আমার মুখাসর প্রভাত হইল, তখন জানিতে পারিয়াছিলাম যে, পিতা আমাকে কত ভাল বালিতেন '