ও। আর কোন বিষয়ও স্বীকার করুন, তাহ হইলেই আমরা বিশেষ বাধিত হই―আপনি যে মহারাজের সাক্ষাৎ লাভ করিলে আমাদিগের বাসনানুয়ায়ী সন্ধির উদ্যোগী হইবেন, তাহাও স্বীকার করিয়া যাউন।
রাজপুত্র কহিলেন, “সেনাপতি মহাশয়! এ অঙ্গীকার করিতে পারিলাম না। দিল্লীর সম্রাট্ আমাদিগকে পাঠান-জয়ে নিযুক্ত করিয়াছেন, পাঠান-জয়ই করিব। সন্ধি করিতে নিযুক্ত করেন নাই, সন্ধি করিব না। কিংবা সে অনুরোধও করিব না।”
ওস্মানের মুখভঙ্গীতে সন্তোষ অথচ ক্ষোভ উভয়ই প্রকাশ হইল; কহিলেন, “যুবরাজ! আপনি রাজপুত্রের ন্যায় উত্তর দিয়াছেন কিন্তু বিবেচনা করিয়া দেখুন, আপনার মুক্তির আর অন্য উপায় নাই।”
জ। আমার মুক্তিতে দিল্লীশ্বরের কি? রাজপুতকুলেও অনেক রাজপুত্র আছে।
ওস্মান কাতর হইয়া কহিলেন, “যুবরাজ! আমার পরামর্শ শুনুন, এ অভিপ্রায় ত্যাগ করুন।”
জ। কেন মহাশয়?
রাজপুত্র! স্পষ্ট কথা.কহিতেছি, আপনার দ্বারা কার্য্যসিদ্ধি হইবে বলিয়াই নবাব সাহেব আপনাকে এ পর্যন্ত আদরে রাখিয়াছিলেন, আপনি যদি তাহাতে বক্র হয়েন, তবে আপনার সমূহ পীড়া ঘটাইবেন।
জ। আবার ভয় প্রদর্শন! এইমাত্র আমি কারাবাসের প্রার্থনা আপনাকে জানাইয়াছি।
ও। যুবরাজ! কেবল কারাবাসেই যদি নবাব তৃপ্ত হয়েন, তবে মঙ্গল জ্বানিবেন।