বিমলা তিলোত্তমার হস্তে ওস্মানের অঙ্গুরীয় দিয়া কহিলেন, এই অঙ্গুরীয় ধর; নৃত্যগ্রহে ঘাইও না; অন্ধরাত্রের এ দিকে উৎসব সম্পূণ হইলবেক না; সে পর্য্যন্ত আমি পাঠানকে নিবৃত্ত রাখিতে পারিব। আমি সে তোমার বিমাতা তাহ। সে জানিয়াছে, তুমি আমার সাক্ষাতে আসিতে পরিবে না, এই ছলে নৃত্যগীত সমাপা পর্য্যন্ত তাহার দর্শন-বাঞ্ছী ক্ষান্ত রাখিতে পারিব। অদ্ধরাত্রে অন্তঃপুর-দ্বারে বাইও; তথায় আর এক ব্যক্তি তোমাকে এইরূপ আর এক অঙ্গুরীয় দেখাইবে। তুমি নির্ভয়ে তাহার সঙ্গে গমন করিও, বেপানে লইয়া সাইতে বলিবে, সে তোমাকে তপার লইয়। যাইবেক। তুমি তাঙ্গকে অভিরাম স্বামীর কুটীরে লষ্ট। যাইতে কহিও।”
তিলোত্তম শুনিয়া চমৎকৃত হইলেন; বিস্ময়ে হউক বা আহলাদে হউক, কিয়ৎক্ষণ কথা কহিতে পারিলেন না, পরে কহিলেন, “এ বৃত্তাস্ত কি? এ অঙ্গুরীয় তোমাকে কে দিল?”
বিমল কহিলেন, “সে সকল বিস্তর কথা; অল্প সময়ে অবকাশ-মত কহিব। এক্ষণে নিঃসঙ্কোচচিত্তে, যাহা বলিলাম, তাই। করিও।”
তিলোত্তম কহিলেন, “তোমার কি গতি হইবে? তুমি কি প্রকারে বাজির হইবে?”
বিমলা কহিলেন, “আমার জন্ত চিন্তা করি ও না। আমি অন্ত উপরে বাহির হইয়া কাল প্রাতে তোমার সহিত মিলিত হইব।”
এই বলিয়া বিমলা তিলোত্তমাকে প্রবোধ দিলেন; কিন্তু তিনি বে তিলোত্তমার জন্য নিজ মুক্তিপথ রোধ করিলেন, তাঙ্গ তিলোত্তমা কিছুই বুঝিতে পারিলেন না।