○bーや দুর্গেশনন্দিনী অঙ্গুরীয়বাঙ্গক প্রহরী, রঙ্গীকে কহিল, “আমাকে ও কক্ষের দ্বার পুলিয়া দাও, এই স্ত্রীলোক সাক্ষাৎ করিতে যাইবেক ।” রক্ষী চমৎকৃত ভক্টর কঠিল, “সে কি ! । 4गड হুকুম নাই, তু:ি কি জ্ঞান ন ?" - অঙ্গুরীয়বাহক কারাগারের প্রহরীকে ওস্মানের সাঙ্কেতিক অঙ্গুরীয় দেখাইল । সে তৎক্ষণাং নতশির হুইয়। কক্ষের দ্বারোদঘাটন করিয়া দিল। রাজকুমার কক্ষমধ্যে এক সামান্ত চৌপায়ার উপর শয়ন করিয়ছিলেন ; দ্বারোলাটন শব্দ শুনিয় কৌতূহুল-প্রযুক্ত দ্বার প্রতি চাহিয়। রঙ্গিলেন। তিলোত্তম বান্তিরদিকে দ্বারের নিকট পর্য্যস্ত আসিয়া আর মাসিতে পারিলেন না। আবার প চলে না ; দ্বারপাশ্বে কপাট ধরিয়া দাড়াইয়া রছিলেন। • • অঙ্গুরীয়বাহক তিলোত্তমাকে গৃহমধ্যে প্রবেশ করিতে অনিচ্ছুক দেখিয়া কছিল, “এ কি ? আপনি এখানে বিলম্ব করেন কেন ?” তথাপি তিলোত্তমার প৷ উঠিল না । প্রহরী পুনৰ্ব্বার কঠিল, “ন। ধান, তবে প্রত্যাগমন করুন। এ দাড়াইবার স্থান নন্তে ।” তিলোত্তম। প্রত্যাগমন করিতে উদ্যত ভক্টলেন । আবার সে দিকে ও পী সঝুেন । কি করেন । প্রহরী ব্যস্ত হইল। ভাবিতে ভাবিতে আপনার অজ্ঞাতসারে তিলোত্তম। এক প। অগ্রসর হইলেন । তিলোত্তম। কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিলেন। কক্ষমধ্যে প্রবেশ করিয়া রাজপুলের দর্শনমাত্র আবার তিলোত্তমার গতিশক্তি রহিত হইল, আবার দ্বারপাশ্বে প্রাচীর অবলম্বনে অধোমুখে দাড়াইলেন।
পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।