চতুর্দশ পরিচ্ছেদ মোছ জগৎসিংহ আনত হইয়। দেখিলেন, তিলোত্তমার স্পন্দ নাই ! নিজ লক্স দ্বারা ব্যজন করিতে লাগিলেন, তথাপি তাহার কোন সংজ্ঞাচিহ্ন না দেখিয়া প্রহরীকে ডাকিলেন । তিলোত্তমার সঙ্গী তাতার নিকটে আসিল জগৎসিংহ তাহাকে কছিলেন, • “ইনি অকস্মাৎ মূচ্চিত হইয়াছেন। কে ইহার সঙ্গে আসিয়াছে ? তাহাকে আসিয়া শুশ্ৰষ করিতে বল ।” প্রহরী কহিল, “কেবল আমিই সঙ্গে আসিয়াছি।” রাজপুত্র বিস্ময়পন্ন হইয়া কহিলেন, “তুমি !" প্রহরী কহিল, “আর কেহ আইসে নাই।” “তবে কি উপায় হইবে ? কোন পৌরদাসীকে সংবাদ কর।” প্রহরী চলিল। রাজপুত্র আবার তাঙ্গকে ডাকিয়া কহিলেন, “শোন, অপর কাঙ্গাকে সংবাদ দিলে গোলযোগ হইবে। আর আজ রাত্রে কেই ব। প্রমোদ ত্যাগ করিয়া ইহার সাহায্যে আসিবে ?” প্রহরী কহিল, “সেও বটে। আর কাহাকেই বা প্রহরীর কারাগারে প্রবেশ করিতে দিবে ? অন্য অন্ত লোককে কারাগারে আনিতে আমার সাহস হয় না।”
পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।