“আয়েষা! আমি যাইব না।”
আয়েষার মুখ শুষ্ক হইল। ক্ষুণ্ণ হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন?”
রা। তোমার নিকট প্রাণ পর্য্যস্ত পাইয়াছি, তোমার বাহাতে মন্ত্রণা হইবে, তাহা আমি কদাচ করিব না।
আয়েষা প্রায় রুদ্ধকণ্ঠে কহিলেন, “নিশ্চিত যাইলে না?”
রাজকুমার কহিলান, “তুমি একাকিনী নাও।”
আয়েষা পুনর্ব্বার নীরব হইয়া রহিলেন। সবার চক্ষে দর দর ধর বিগলিত হইতে লাগিল। আয়েষা কষ্টে অশ্রুসংবরণ করিতে লাগিলেন;
রাজপুত্র আয়েষার নিঃশব্দ রোদন দেখিয়া চমৎকৃত হইলেন। কহিলেন, “আরেষা! রোদন করিতেছ কেন?”
আয়েষা কথা কহিলেন না। রাজপুত্র আবার কহিলেন “আরেষা! আমার অনুরোধ রাপ, রোদনের কারণ যদি প্রকাশ্য হয়, তবে আমার নিকট প্রকাশ কর। যদি আমার প্রাণদান করিলেতোমার নীরব রোদনের কারণ নিরাকরণ হয়, তাহা আমি করিব। আমি যে বন্দিত্ব স্বীকার করিলাম, কেবল ইহাতেই কখনও আয়েষার চক্ষে জল আইসে নাই। তোমার পিতার কারাগারে আমার ন্যায় অনেক বন্দী কষ্ট পাইয়াছে।
আয়েষা আশু রাজপুত্রের কথার উত্তর না করিয়া অশ্রুজল অঞ্চলে মুছিলেন। ক্ষণিক নীরবে নিম্পন্দ থাকিয়া কহিলেন, “রাজপুত্র! আমি আর কাঁদিব না।” - রাজপুত্র প্রশ্নের উত্তর ন, পাইয়া। কিছু ক্ষুণ্ণ হইলেন। উভয়ে আবার নীরবে মুখ অবনত করির রহিলেন।
প্রকোষ্ঠ-প্রাকারে আর এক ব্যক্তির ছায়া পড়িল; কেহ তাহা দেখিতে পাইল না; তৃতীয় ব্যক্তি আসিয়া উভয়ের নিকটে দাড়াইল,