তৎপরামর্শানুবর্তী হইয়া, দারুকেশ্বরতীরে শিবির সংস্থাপন করিলেন। তথায় সৈদ খাঁর প্রতীক্ষায় রহিলেন।
তথায় অবস্থিতিকালে লোকমুখে রাজা সংবাদ পাইলেন যে, কতলু খাঁ তাঁহার আলস্য দেখিয়া সাহসিক হইয়াছে; সেই সাহসে মান্দারণের অনতিদূর-মধ্যে সসৈন্যে আসিয়া দেশ লুঠ করিতেছে। রাজা উদ্বিগ্নচিত্ত হইয়া, শত্রুবল কোথায়, কি অভিপ্রায়ে আসিয়াছে, কি করিতেছে, এই সকল সংবাদ নিশ্চয় জানিবার জন্য, তাঁহার একজন প্রধান সৈন্যাধ্যক্ষকে প্রেরণ করা উচিত বিবেচনা করিলেন। মানসিংহের সহিত তাঁহার প্রিয়তম পুত্র জগৎসিংহ যুদ্ধে আসিয়াছিলেন; জগৎসিংহ এই দুঃসাহসিক কার্যের ভার লইতে সোৎসুক জানিয়া, রাজা তাঁহাকেই শতেক অশ্বারোহী সেনা সমভিব্যাহারে শত্রুশিবিরোদ্দেশে প্রেরণ করিলেন। রাজকুমার কার্য সিদ্ধ করিয়া অচিরাৎ প্রত্যাবর্তন করিলেন। যৎকালে কার্যসমামা করিয়া শিবিরে প্রত্যাগমন করিতেছিলেন, তখন প্রান্তরমধ্যে পাঠক মহাশয়ের সহিত তাঁহার পরিচয় হইয়াছে।