২১২ দুর্গেশনন্দিনী অট্টালিকা ছিল ; বোধ হয়, অতি পূৰ্ব্বকালে কোন রাজবিদ্রোহী এস্থল আসিয়া কাননাভ্যন্তরে লুক্কায়িত ছিল। শালবৃক্ষে ঘোটক বন্ধন করিয়l; ওস্মান রাজপুত্রকে সেই অট্টালিকার মধ্যে লইয়া গেলেন। অট্রলিক "মুহূৰ্য্যশূন্ত। মধ্যস্থলে প্রশস্ত প্রাঙ্গণ, তাহার এক পর্শ্বে এক বাবনিক সমাধিখ্যাত প্রস্তুত রহিয়াছে ; অথচ শব নাই ; অপর পাশ্বে চিতাসজ্জ। রছিয়ছে, অথচ কোন মৃতদেহ নাই । . প্রাঙ্গণমধ্যে আসিলে রাজকুমার জিজ্ঞাস করিলেন, “এ সকল কি ?” ওস্মান কছিলেন, “এ সকল আমার আজ্ঞাক্ৰমে হইয়াছে ; আজ যদি আমার মৃত্যু হয়, তবে মহাশয় আমাকে এই কবরমধ্যে সমাধিস্ত করিবেন, কেন্স জানিবে না ; যদি আপনি দেহত্যাগ করেন, তবে এষ্ট :চিতায় ব্রাহ্মণ দ্বারা আপনার সৎকার করাইল, অপর কেহ জানিবে না।" রাজপুত্র বিস্মিত হইয়া কতিলেন, “এ সকল কথার তাৎপৰ্য্য কি ?” ওস্মান কহিলেন, “আনরা পাঠান—অস্তঃকরণ প্ৰজলিত হইলে, উচিতামুচিত বিবেচনা করি না; এ পৃথিবীর মধ্যে আয়েষার প্রণয়াকাঙ্গী দুই ব্যক্তির স্থান হয় না, একজন এইখানে প্রাণত্যাগ করিব।” তখন রাজপুত্ৰ আষ্ঠোপাস্ত বুঝিতে পারিয়া অত্যুস্ত ক্ষুব্ধ হইলেন . কহিলেন, “আপনার কি অভিপ্রায় ?” ওসমান কহিলেন, “সশস্ত্ৰ আছ, আমার সহিত যুদ্ধ কর। সাধ্য হয়, আমাকে বধ করিয়া আপনার পথ মুক্ত কর, নহেৎ আমার ছন্তে প্রাণত্যাগ করিয়া জামার পথ ছাড়িয়া দাও।” এই বলিয়। ওস্মান জগৎসিংহকে প্রত্যুত্তরের অবকাশ দিলেন না, অসি-হস্তে তৎপ্রতি আক্রমণ করিলেন। রাজপুত্র অগত্য আত্মরক্ষার্থ - শঙ্কণ্ঠে কোষ হইতে অসি বাহির করিয়া, ওস্মামের মাঘাতের প্রতিঘাতৃ
পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।