দীপ নির্বাণোন্মুখ રર૭ সেইজন্যই তোমাকে আসিতে লিথিয়ছি। তখনও তিলোত্তার আরোগ্যের ভরস। দূর হয় নাই ; কিন্তু ঝিয়াছিলাম যে, দুই দিন মধ্যে কিছু উপশম না হইলে চরম কাল উপস্থিত হইবে। এই জন্য তুষ্ট দিন পুরে পত্র পড়িবার পরামর্শ দিয়াছিলাম। এক্ষণে মে ভয় করিয়াছিলাম, তাহাই ঘটয়ছে । তিলোত্তমার জীবনের আর কোন আশা নাই। ট্রবিন-দীপ নিৰ্ব্বাণোন্মুপ হইয়াছে ” ● এই বলিয়। অভিরাম স্বাণী পুনৰ্ব্বার রোদন করিতে লাগিলেন । জগংসিংহ ও রোদন করিতেছিলেন । - so স্বামী পুনশ্চ কহিলেন, " অকস্মাং তোমার তিলোত্তম-সন্নিধানে স। ওয়া হইবে না ; কি জানি, যদি এ অবস্থান উল্লাসের আধিক্য সহ ন হয় ? অর্মম পূৰ্ব্বে বলি রাপিয়াছি যে, তোমাকে আসিতে সংবাদ দিরাচি তোমার আসার সম্ভাবন আছে। এইক্ষণে আসার সংবাদ : সি আৰু পশ্চাৎ সাক্ষাং করিও ” এষ্ট বলিরা পরমহংস, সেদিকে ভগ্নাটালিকার অন্তঃপুর পেই দিকে গমন করিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে প্রত্যাগমন করিয়ী রাজপুত্রকে কছিলেন, “আইস ” রাজপুত্র পরমহংসের সঙ্গে অস্তঃপুরাভিমূপে গমন করিলেন। দেখিলেন, একটি কক্ষ আভগ্ন আছে, তন্মপে জীৰ্ণ ভগ্নপালঙ্ক, তদুপরি ল্যাধিঙ্গাণ, অথচ অনতিবিলুপ্ত-রূপরাশি তিলোক্তনা শয়ান রচিয়ছে ;. এ সময়েও পূৰ্ব্বলাবণ্যের মৃদুলতর-প্রভা-পরিবেষ্টিত . রহিমাছে ;নিৰ্ব্বাণোন্মুখ প্রভাত-তারার স্থায় মনোমোহিনী হইয়। রঙ্গিয়াছে ; নিকটে একটি বিধবা বসিয়; অঙ্গে হস্তমাৰ্জন করিতেছে ; সে নিরা গুরণ, মলিন, দীন বিমলা। রাজকুমার তাহাকে প্রথমে চিনিতে পারিলেন
পাতা:দুর্গেশনন্দিনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।