নাই। অন্ধের দিন-রাত্রি নাই, ও ত কিছুই বুঝিতে পারিবে না, সুতরাং ওকে অবিশ্বাস নাই। তবে বামুন যেতে চাবে না।”
আশ্মানি হাসিয়া কহিল, “সে ভার আমার; আমি তাহাকে সঙ্গে করিয়া নিয়া আসিতেছি, তুমি ফটকের সম্মুখে একটু অপেক্ষা করিও।”
এই বলিয়া আশমানি হাসিতে হাসিতে দুর্গমধ্যস্থ একটী ক্ষুদ্র কুটীরাভিমুখে চলিল।
অভিরাম স্বামীর শিষ্য গজপতি বিদ্যাদিগ্গজ ইতিপূৰ্বেই পাঠক মহাশয়ের নিকট একবার পরিচিত হইয়াছেন। যে হেতুতে বিমলা তাঁহার রসিকরাজ নাম রাখিয়াছিলেন, তাহাও পাঠক মহাশয় অবগত আছেন। সেই মহাপুরুষ এই কুটীরের অধিকারী। দিগ্গজ মহাশয় দৈর্ঘ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাত হইবেন, প্রস্থে বড় জোর আধ হাত তিন আঙ্গুল। পা দুইখানি কাকাল হইতে মাটি পর্য্যন্ত মাপিলে চৌদ্দপুয়া চারিহাত হইবেক; প্রস্থে রলা কাষ্ঠের পরিমাণ; বর্ণ দোয়াতের কালি; বােধ হয়, অগ্নি কাষ্ঠভ্রমে পা দুখানি ভক্ষণ করিতে বসিয়াছিলেন, কিছু মাত্র রস না পাইয়া, অর্দ্ধেক অঙ্গার করিয়া ফেলিয়া দিয়াছেন। দিগ্গজ মহাশয় অধিক দৈর্ঘ্যবশতঃ একটু একটু কুঁজো; অবয়বের মধ্যে নাসিকা প্রবল, শরীরের মাংসাভাব সেইখানেই সংশােধন হইয়াছে। মাথাটা বেহারাকামান, কামান চুলগুলি যাহা আছে তাহা ছােট ছোট, আবার হাত দিলে সূচ ফুটে। আর্ক-ফলার ঘটাটা জাঁকাল রকম।
গজপতি, ‘বিদ্যাদিগগজ’ উপাধি সাধ করিয়া পান নাই, বুদ্ধিখানা অতি তীক্ষ্ণ। বাল্যকালে: চতুষ্পাঠীতে ব্যাকরণ আরম্ভ করিয়াছিলেন, সাড়ে সাত মাসে “সহর্ণের্ঘ” সূত্রটি ব্যাখ্যা শুদ্ধ মুখস্থ হয়; ভট্টাচার্য্য়