দিগ্গজ গজপতির মনোমোহিনী আশ্মানি কিরূপ রূপবতী, জানিতে পাঠকমহাশয়ের কৌতূহল জন্মিয়াছে সন্দেহ নাই। অতএব তাঁহার সাধ পূরাইব। কিন্তু স্ত্রীলোকের রূপবর্ণন-বিষয়ে গ্রন্থকারগণ যে পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া থাকেন, আমার সদৃশ অকিঞ্চন জনের তৎপদ্ধতিবহির্ভূত হওয়া অতি ধৃষ্টতার বিষয়। অতএব প্রথমে মঙ্গলাচরণ করা কর্তব্য।
হে বাগ্দেবি! হে কমলাসনে। শরদিন্দুনিভাননে! অমল-কমল-দল-নিন্দিত-চরণ-ভক্তজন-বৎসলে! আমাকে সেই চরণকমলের ছায়া দান কর; আমি আশানির রূপবর্ণন করিব। হে অরবিন্দানন-সুন্দরীকুল-গর্ব্বখর্ব্বকারিণি! হে বিশাল-শাল-দীর্ঘ-সমাস-পটল-সৃষ্টি-কারিণি! একবার পদনখের এক পার্শ্বে স্থান দাও, আমি রূপবর্ণন করিব। সমাস-পটল, সন্ধি-বেগুন, উপমা-কাঁচকলার চড়চড়ি রাঁধিয়া এই খিচুড়ি তোমায় ভোগ দিব। হে পণ্ডিতকুলেপ্সিত-পয়ঃপ্রস্রবিণি! হে মুর্খজন-প্রতি ক্বচিৎ কৃপকারিনি! হে অঙ্গুলি-কণ্ডূয়ন-বিষম-বিকার-সমুৎপাদিনি! হে বটতলা-বিদ্যাপ্রদীপ-তৈল-প্রদায়িনি! আমার বুদ্ধির প্রদীপ একবার উজ্জ্বল করিয়া দিয়া যাও! মা! তোমার দুই রূপ; যেরূপে তুমি কালিদাসকে