আশ্মানির অভিসার
৫৫
কারণান্তরে দাড়িম্ব বঙ্গদেশ ছাড়িয়া পাটনা অঞ্চলে পলাইয়া রহিলেন; আর হস্তী কুম্ভ লইয়া ব্রহ্মদেশে পাইলেন; বাকি ছিলেন, ধবলগিরি, তিনি দেখিলেন যে, আমার চুড়া কতই বা উচ্চ, আড়াই ক্রোশ বই তো নয়, এ চূড়া অন্যূন তিন ক্রোশ হইবেক; এই ভাবিতে ভাবিতে ধবলগিরির মাথা গরম হইয়া উঠিল, বরফ ঢালিতে লাগিলেন, তিনি সেই অবধি মাথায় বরফ দিয়া বসিয়া আছেন।
কপালের লিখন দোষে আশ্মানি বিধবা! আশ্মানি দিগ্গজের কুটীরে আসিয়া দেখিল যে, কুটীরের দ্বার রুদ্ধ, ভিতরে প্রদীপ জ্বলিতেছে। ডাকিল,—
“ও ঠাকুর!”
কেউ উত্তর দিল না।
বলিল,—“ও গোঁসাই।”
উত্তর নাই।
“মর বিট্লে কি করিতেছে? ও রসিকরাজ রসোপাধ্যায় প্রভু!”
উত্তর নাই।
আশ্মানি কুটীরের দ্বারে ছিদ্র দিয়া উঁকি মারিয়া দেখিল, ব্রাহ্মণ আহারে বসিয়াছে, এই জন্য কথা নাই; কথা কহিলে, ব্রাহ্মণের আহার হয় না। আশ্মানি ভাবিল, “ইহার আবার নিষ্ঠা; দেখি দেখি, কথা কহিয়া আবার খায় কি না।”
“বলি ও রসিকরাজ!”.
উত্তর নাই।
“ও রসরাজ!”
উত্তর। “হুম্।”