আমনি কহিল, “তবে আবার খাইতে হইবেক।”
দি। রাধে মাধব; গণ্ডূষ করিয়াছি, গাত্রোত্থান করিয়াছি, আবার খাইব?
আ। হাঁ, খাইবে বই কি। আমারই উচ্ছিষ্ট খাইবে। এই বলিয়া আশ্মানি ভোজনপাত্র হইতে এক গ্রাস অন্ন লইয়া আপনি খাইল।
ব্রাহ্মণ অবাক্ হইয়া রহিলেন।
আশমানি উৎসৃষ্ট অন্ন ভোজনপাত্রে রাখিয়া কহিল, “খাও।”
ব্রাহ্মণের বাঙ্নিষ্পত্তি নাই।
আ। খাও, শােন, কাহাকেও বলিব না যে, তুমি আমার উচ্ছিষ্ট খাইয়াছ। কেহ না জানিতে পারিলে দোষ কি?
দি। তাও কি হয়?
কিন্তু দিগ্গজের উদরমধ্যে অগ্নিদেব প্রচণ্ড জ্বালায় জ্বলিতেছিলেন। দিগ্গজ মনে মনে করিতেছিল যে, আশ্মনি যেমন সুন্দরী হউক না কেন, পৃথিবী ইহাকে গ্রাস করুন, আমি গােপনে ইহার উৎসৃষ্টাবশেষ ভোজন করিয়া সহ্যমান উদর শীতল করি।
আমানি ভাব বুঝিয়া বলিল, “খাও,—না খাও, একবার পাতের কাছে বসো।”
দি। কেন? তাতে কি হইবে?
আ। আমার সাধ। তুমি কি আর একটা সাধ পূরাইতে পার না?
দিগ্গজ বলিলেন, “শুধু পাতের কাছে বসিতে কি? তাহাতে কোন দোষ নাই। তােমার কথা রাখিলাম।”
এই বলিয়া দিগ্গজ পণ্ডিত, আশ্মানির কথায় পাতের কাছে গিয়া