এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
দুর্গেশনন্দিনী
বি। | না। |
আশ্মানি কহিল, “আমরা তােমার সঙ্গে পলাইয়া যাব।”
ব্রাহ্মণ অবাক্ হইয়া হাঁ করিয়া রহিলেন। বিমলা কষ্টে উচ্চ হাসি সংবরণ করিলেন। কহিলেন,“কথা কও না যে?”
“অ্যাঁ অ্যাঁ, তা তা তা তা”—বাঙ্নিষ্পত্তি হইয়া উঠিল না।
আশ্মানি কহিল, “তবে কি পারিবে না?”
“অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ, তা তা—স্বামী-ঠাকুরকে বলিয়া আসি।”
বিমলা কহিলেন, “স্বামী-ঠাকুরকে আবার বলবে কি? এ কি তােমার মাতৃশ্রাদ্ধ উপস্থিত যে, স্বামী-ঠাকুরের কাছে ব্যবস্থা নিতে যাবে?”
দি। | না না, তা যাব না; ত কবে যেতে হবে? |
বি। | কবে? এখনই চল, দেখিতেছ না, আমি গহনাপত্র লইয়া বাহির হইয়াছি। |
দি। | এখনই? |
বি। | এখনই না ত কি? নহিলে বল আমরা অন্য লােকের তল্লাস করি। |
গজপতি আর থাকিতে পারিলেন না, বলিলেন, “চল, যাইতেছি।”
বিমলা বলিলেন, “দোছোট লও।”
দিগ্গজ নামাবলী গায়ে দিলেন। বিমলা অগ্রে, ব্রাহ্মণ পশ্চাতে যাত্রা করেন, এমত সময়ে দিগ্গজ বলিলেন, “সুন্দরি?”
বি। | কি? |
দি। | আবার আসিবে কবে? |
বি। | আসিব কি আবার? একেবারে চলিলাম। |