হাসিতে দিগ্গজের মুখ পরিপূর্ণ হইল, বলিলেন,—“তৈজসপত্র রহিল যে।” | |
বি। | ও সব তােমায় কিনে দিব। |
ব্রাহ্মণ কিছু ক্ষুণ্ণ হইলেন; কি করেন, স্ত্রীলােকেরা মনে করিবে আমাদের ভালবাসে না, অভাবপক্ষে বলিলেন,—“খুঙ্গীপুতি?”
বিমলা বলিলেন, “শীঘ্র লও।”
বিদ্যাদিগ্গজের সবে দুখানি পুতি—ব্যাকরণ আর একখানি স্মৃতি। ব্যাকরণখানি হস্তে লইয়া বলিলেন, “এখানিতে কাজই বা কি, এ ত আমার কণ্ঠে আছে।” এই বলিয়া কেবল স্মৃতিখানি খুঙ্গীর মধ্যে লইলেন! ‘দুর্গা শ্রীহরি’ বলিয়া বিমলা ও আশ্মানির সহিত যাত্রা করিলেন।
আশ্মানি কহিল, “তােমরা আগু হও, আমি পশ্চাৎ যাইতেছি।”
এই বলিয়া আশ্মানি গৃহে গেল; বিমলা ও গজপতি একত্রে চলিলেন। অন্ধকারে উভয়ে অলক্ষ্য থাকিয়া দুর্গদ্বারের বাহির হইলেন। কিয়দ্দূর গমন করিয়া দিগ্গজ কহিলেন,—“কই, আশ্মানি আসিল না?”
বিমলা কহিলেন, “সে বুঝি আসিতে পারিল না। আবার তাকে কেন?”
রসিকরাজ নীরব হইয়া রহিলেন। ক্ষণেক পরে নিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন,—“তৈজসপত্র!”