পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অবিবাহিতদের ভিতর ভ্রষ্টাচার

বন্দোবস্ত করিয়া রাখা, বাধ্যতামূলক সৈন্যসংগ্রহের সময় নিজের স্থলে আর একজনকে (পুত্রকে) সৈন্যদলে ভর্ত্তি করার সুবিধা পাওয়ার আশা, অথবা এইরূপ অপর কোনো স্বার্থ-চিন্তা। যে পাপ-পথে চলিতে চলিতে তাহারা ক্লান্ত হইয়া পড়ে, তার পরিবর্ত্তে নূতন রকমে ইন্দ্রিয়ভোগ করার জন্যও তাহারা বিবাহ করে।

 শ্রীযুক্ত বুরো তার পর হিসাব করিয়া দেখাইয়াছেন যে, এই সব বিবাহের ফলে ব্যভিচার কমে নাই বরং বাড়িয়াছে। তথাকথিত বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এই অধঃপতনের যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছে—এই আবিষ্কারের উদ্দেশ্য ইন্দ্রিয়পরায়ণতা রোধ করা নহে, ইহার উদ্দেশ্য ইন্দ্রিয়-পরিতৃপ্তির ফল এড়ান। যে অধ্যায়ে পরস্ত্রীগমন ও তালাকের সংখ্যাবৃদ্ধির কথা আছে, সে অধ্যায় সম্বন্ধে এখন কিছু বলিব না— গত ২০ বৎসরে এই সংখ্যা দ্বিগুণের বেশী বাড়িয়াছে। ‘পুরুষের সমান অধিকার নারীর থাকা চাই’ এই কথা বলিয়া যাহারা নারীকে ইন্দ্রিয়সেবার স্বাধীনতা দিবার পক্ষপাতী, আমি তাহাদিগকে কিছু বলিব। গর্ভ-নিরোধ এবং গর্ভপাত করিবার জন্য যে সব তথাকথিত উন্নত প্রণালী আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহা স্ত্রী-পুরুষ সকলকে সব রকম নৈতিক বন্ধন হইতে মুক্ত করিয়াছে। এ জন্য বিবাহের কথায় লোকে যদি হাসে, তবে ইহাতে বিস্ময়ের কি আছে? বুরো এক জনপ্রিয় লেখকের এই লেখা উদ্ধৃত করিয়াছেন:— “আমার মতে বিবাহপ্রথা বর্ব্বরতা ও নিষ্ঠুরতার পরিচায়ক। যখন মানুষ আরও ন্যায়পরায়ণ ও বুদ্ধিমান হইবে তখন তাহারা এই কুপ্রথা নিশ্চয়ই লোপ করিবে। *** কিন্তু পুরুষ এত মূর্থ এবং নারী এত ভীরু যে কোনো মহান আদর্শের জন্য তাহারা উৎসাহের সহিত কিছু করিতে চায় না।”

 যে সব প্রণালীর কথা বুরো উল্লেখ করিয়াছেন, তাহার ফল এবং