পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিবাহিত জীবনে ভ্রষ্টাচার
১১

ভাবে উত্তর দিবার ইচ্ছা আমাদের যতই প্রবল হউক না কেন, যখন এ কথা বলা হয় যে, অবাধ ইন্দ্রিয়সেবা শরীরকে সুস্থ ও সবল করে, তখন তাহা বিশ্বাস করা যায় না। চারিদিক হইতে শুনা যাইতেছে যে যুবক ও বয়স্কদের তেজোবীর্য্য কমিয়া যাইতেছে। যুদ্ধের পূর্ব্বে সৈন্য বিভাগের কর্ত্তাদিগকে নূতন সৈন্য সংগ্রহের সময় শারীরিক যোগ্যতার সর্ত্ত কয়েকবার ঢিলা করিতে হইয়াছিল। জাতির সহনশীলতা সাংঘাতিকভাবে কমিয়া গিয়াছে। অবশ্য এ কথা বলিলে অন্যায় হইবে যে, শুধু অসংযমই এই অধঃপতন আনিয়াছে, তবে ইহা সত্য যে অসংযম এজন্য অনেকখানি দায়ী, মদ্যপান ও অস্বাস্থ্যকর স্থানে বাস করা প্রভৃতি কারণও ইহার জন্য আংশিকভাবে দায়ী। আমরা যদি স্থিরভাবে একটু চিন্তা করিয়া দেখি, তবে সহজে বুঝিব এই ভ্রষ্টাচার এবং যে মানসিক অবস্থা ইহাকে স্থায়ী করে তাহা অন্যান্য ব্যাধিরও বিশেষ সহায়ক। উপদংশাদি রোগের ভয়ানক বিস্তৃতি জনসাধারণের স্বাস্থ্যের মহা অনিষ্ট করিয়াছে।

 ম্যালথাস-পন্থীগণ বলেন, যে-অনুপাতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ দ্বারা লোক সংখ্যা হ্রাস করা যায়, সেই অনুপাতে লোকের ধনসম্পদ্ বাড়ে। শ্রীযুক্ত বুরো এই কথা মানেন না। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সহিত জার্মানির অর্থ সম্পদ কিরূপে বাড়িতেছে এবং জনসংখ্যা হ্রাসের সহিত ফ্রান্সের অর্থ সম্পদ কিরূপে কমিতেছে তাহা তিনি অকাট্যরূপে প্রমাণ করিয়াছেন। শ্রমিকদের স্বার্থ বিসর্জ্জন দিয়া অন্যান্য দেশে যেরূপে বাণিজ্য বিস্তার করা হয়, জার্মানির অসাধারণ বাণিজ্য বিস্তারের জন্য সেখানকার শ্রমিকদের স্বার্থ তাহা অপেক্ষা বেশী বিসর্জ্জন দেওয়া হয় নাই। তিনি রোসিনোলের এই লেখাটি উদ্ধৃত করিয়াছেন:— ‘যখন জার্মানিতে শুধু ৪ কোটি ১০ লক্ষ লোক ছিল, তখন লোকে অনাহারে মরিত;