পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
দুর্নীতির পথে

যখন তাহাদের সংখ্যা ৬ কোটী ৮০ লক্ষ হইয়াছে, তখন হইতে জার্মানি দিন দিন অর্থশালী হইতেছে।’ বুরো বলেন, সন্ন্যাসী বা সংযমী না হইয়াও এই সব লোক বৎসর বৎসর সেভিংস্-ব্যাঙ্কে যথেষ্ট টাকা জমাইয়াছে। ১৯১১ সালে এই সঞ্চিত টাকার পরিমাণ ছিল ২২০০ কোটি ফ্রাঙ্ক; ১৮৯৫ সালে ছিল মাত্র ৮০০ কোটি ফ্রাঙ্ক; প্রতি বৎসর তাহারা ৮৫ কোটি ফ্রাঙ্ক জমাইয়াছে।

 জার্মানির যন্ত্রপাতির উন্নতির কথা বর্ণনা করিয়া, সেখানকার সাধারণ বিদ্যাচর্চা বিষয়ে শ্রীযুক্ত বুরো লিখিয়াছেন:— সমাজতত্ত্ব সম্বন্ধে গভীর জ্ঞানলাভ না করিয়াও সকলে ইহা বুঝিতে পারেন যে, উন্নত শ্রমিক, উচ্চশিক্ষিত পরিদর্শক এবং সুশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার পাওয়া না গেলে, সেখানে এরূপ উন্নতি অসম্ভব হইত। শিল্প বিদ্যালয়গুলি তিন রকমের—পাঁচ শতের বেশী বিদ্যালয়ে পেশাগত শিল্প শিক্ষা দেওয়া হয়—শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০ হাজার; যন্ত্রবিজ্ঞান বিদ্যালয়ের সংখ্যা আরও অনেক বেশী, ইহার কোনো কোনো বিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা হাজারের উপর; সৰ্বশেষে আছে আরও উন্নত শিক্ষাদানের জন্য কলেজ-সমূহ, সেখানকার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫০০০, এই সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় ডক্টর উপাধি বিতরণ করিয়া থাকে। *** ৩৬৫টি বাণিজ্য বিদ্যালয়ে ৩১,০০০ ছাত্র আছে এবং অসংখ্য বিদ্যালয়ে ৯০,০০০ ছাত্র কৃষিবিদ্যা অধ্যয়ন করে। অর্থ উপার্জ্জনের বিভিন্ন বিভাগের এই ৪০০,০০০ ছাত্রের তুলনায় ফরাসী দেশের পেশাগত শিল্প শিক্ষার্থী ৩৫ হাজার ছাত্রের সংখ্যা কত কম? ফরাসী দেশে ১৭, ৭০,০০০ লোক কৃষিজীবি, ইহাদের ভিতর ৭,৭৯,৭৯৮ জনের বয়স আঠার বৎসরের কম এ অবস্থায় বিশেষ কৃষি-বিদ্যালয়ে মাত্র ৩,২৫৫ জন ছাত্র আছে। বুরো ইহা স্বীকার করিয়াছেন যে, জার্মানির লোকের জন্মসংখ্যা মৃত্যুসংখ্য