পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিবাহিত জীবনে ভ্রষ্টাচার
১৩

অপেক্ষা বেশী বলিয়াই যে তাহাদের এ সব আশ্চর্যজনক উন্নতি হইয়াছে তাহা নহে। তিনি ঠিকই বলিয়াছেন, অন্যান্য সুযোগ থাকিলে জন্মহার অনেক বেশী হওয়া রাষ্ট্ৰীয় উন্নতির পক্ষে অবশ্য প্রয়োজনীয়। বাস্তবিক তিনি যাহা প্রমাণ করিতে চাহিয়াছেন তাহা এই, জন্মসংখ্যার বৃদ্ধি পার্থিব সম্পদ বৃদ্ধি ও নৈতিক উন্নতির পরিপন্থী নহে। জন্ম-সংখ্যা হিসাবে ভারতবাসী আমাদের অবস্থা ফরাসীদের মত নহে। কিন্তু একথা বলা চলে যে, ভারতের জন্মসংখ্যার অতি বৃদ্ধি, জার্মানির মত আমাদের রাষ্ট্রীয় উন্নতির সহায়ক নহে। কিন্তু বুরোর অঙ্ক এবং সিদ্ধান্ত অনুসারে ভারতের অবস্থার বিচার অন্য এক অধ্যায়ে করিব।

 যেখানে মৃত্যুসংখ্যা অপেক্ষা জন্মসংখ্যা বেশী, সেই জার্মানির অবস্থা বর্ণনা করিয়া বুরো বলেন, “সকলেই জানেন ধন-সম্পদে ফরাসী জাতির স্থান ইউরোপে চতুর্থ এবং সে তৃতীয় রাষ্ট্রের অনেক নীচে। টাকা খাটাইয়া ফ্রান্স বৎসরে পায় ২৫•• কোটি ফ্রাঙ্ক, জার্মানি পায় ৫০০০ কোটি ফ্রাঙ্ক। ১৮৭৯ হইতে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত ৩৫ বৎসরে ফরাসী দেশের জমির মূল্য ৯,২০০ কোটি হইতে ৫,২০০ কোটি ফ্রাঙ্কে নামিয়াছে অর্থাৎ ৪,০০০ কোটি ফ্রাঙ্ক কমিয়াছে। দেশের প্রত্যেক জেলায় ক্ষেতে কাজ করা কৃষাণের অভাব হইয়াছে এবং এমন অনেক জেলাও আছে যেখানে বৃদ্ধ ভিন্ন কদাচিত অন্য কাহাকেও দেখা যায়।” তিনি লিখিয়াছেন, “ভ্রষ্টাচার এবং সন্তান নিরোধের ফলে সমাজের সকল রকম শক্তি ক্ষীণ হয় এবং সামাজিক জীবনে বৃদ্ধদের নিরঙ্কুশ প্রাধান্য স্থাপিত হয়। প্রতি হাজার লোকের মধ্যে ফ্রান্সে শিশুর সংখ্যা ১৭০, ইংলণ্ডে ২১০ ও জার্মানিতে ২২০। বৃদ্ধের সংখ্যার অনুপাত স্বভাবত যাহা হওয়া উচিত ফ্রান্সে তাহা অপেক্ষা বেশী। যাহারা বৃদ্ধ নহে তাহারাও ভ্রষ্টাচারের