পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



চতুর্থ অধ্যায়

সংযমের উপকারিতা

ভ্রষ্টাচার তথা কৃত্রিম উপায়ে দুর্নীতির প্রসার ও তার ভয়ঙ্কর পরিণাম সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া, লেখক তাহা নিবারণ করার উপায় সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন। যে অংশে আইন-কানুন, তাহাদের প্রয়োজনীয়তা ও সম্পূর্ণ ব্যর্থতা সম্বন্ধে আলোচনা আছে, আমি তার কথা এখানে কিছু বলিব না। তার পর তিনি লোকমত গঠন করিয়া অবিবাহিতদের সংযম রক্ষার প্রয়োজনীয়তা, যাহারা সব সময় পাশববৃত্তি দমন করিতে সক্ষম নহে, তাহাদের বিবাহের প্রয়োজনীয়তা, বিবাহের পর স্বামীস্ত্রীর পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ততা এবং বিবাহিত জীবনে ব্রহ্মচর্যের আবশ্যকতা সম্বন্ধে লিখিয়াছেন। সংযমের বিরুদ্ধে কেহ কেহ এই যুক্তি পেশ করেন যে, ইহা নরনারীর স্বাভাবিক বৃত্তির বিবোধী, স্বাস্থ্যের পক্ষে অনিষ্টকর, ইহা ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে খর্ব্ব করে, প্রত্যেককে ইচ্ছামত জীবনযাপন করার ও সুখী হইবার স্বাধীনতা হইতে বঞ্চিত করে। তিনি এ সব যুক্তি আলোচনা করিয়াছেন।

 তিনি স্বীকার করেন না যে, অন্য ইন্দ্রিয়ের ন্যায় জননেন্দ্রিয় আপনার ভোগ চায়। ইহা সত্য হইলে ইহাকে দমনে রাখিবার যে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ইচ্ছাশক্তির আছে, তার মূল কিরূপে নির্ণীত হইবে? আধুনিক সভ্যতা অকালে অল্পবয়স্ক বালক-বালিকাদের সামনে অসংখ্য উত্তেজনার কারণ উপস্থিত করে বলিয়া, অসময়ে তাহাদের ইন্দ্রিয়পরায়ণতা জাগ্রত