পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
দুর্নীতির পথে

হয়। আবার এই ইন্দ্রিয়সেবাকে কোন কোনো কূট তার্কিক অতি প্রয়োজনীয় মনে করেন।

 টুবিগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অষ্টার্লেন বলেন, “কামবাসনা এত প্রবল নহে যে, বিবেক অথবা নৈতিক শক্তির সাহায্যে ইহাকে সংযত করা যায় না। উপযুক্ত সময় পর্যন্ত যুবক যুবতীর নিজেকে সামলাইয়া চলা উচিত। তাহাদের জানা উচিত, এইরূপ স্বেচ্ছাকৃত আত্মত্যাগের পুরস্কারস্বরূপ হৃষ্টপুষ্ট শরীর, অটুট স্বাস্থ্য ও নিত্য নূতন উৎসাহের অধিকারী হওয়া যায়।”

 “সংযম ও পূর্ণ পবিত্রতার সহিত শরীরবিজ্ঞান ও নীতিধর্ম্মের সম্পূর্ণ সামঞ্জস্য আছে। নীতি ও ধর্ম্মের অনুশাসনের ন্যায় শরীরবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানও অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়সেবার সমর্থন করে না।”

 লণ্ডনের রয়াল কলেজের অধ্যাপক শ্রীযুক্ত স্যার লায়ন‍্স বিলী বলেন, “শ্রেষ্ঠ এবং মহৎ লোকের দৃষ্টান্ত হইতে সব সময় বুঝা যায় যে, সর্ব্বাপেক্ষা শক্তিশালী বিকার ও সহজাত সংস্কারকেও প্রবল ইচ্ছাশক্তির সাহায্যে এবং জীবন যাপন প্রণালী ও পেশা নির্ব্বচনে সাবধানতা অবলম্বন করিলে সংযত করা যায়। শুধু বাহ্যিকভাবে নহে, যাহারা দেহমনে ইন্দ্রিয়সেবা হইতে বিরত হইয়াছেন, তাহাদের কোনো অনিষ্ট হইতে পারে না। এক কথায়, মন ভাল হইলে অবিবাহিত থাকা একটুও দুঃসাধ্য নহে। ••• সম্ভোগ-বিরতিই ব্রহ্মচর্য্য নহে। মানসিক পবিত্রতা এবং অটল বিশ্বাসের ফলে যে শক্তিলাভ হয় তাহাই ব্রহ্মচর্য্য।

 সুইস মনোবিজ্ঞানবিৎ ফোরেল বলেন, “প্রত্যেক রকম স্নায়বিক কাজ অনুশীলন দ্বারা বৃদ্ধি পায় ও শক্তিশালী হয়। অন্যপক্ষে, কোনো বিশেষ স্নায়ুর কাজ বন্ধ রাখিলে, উত্তেজনার কারণ কমিয়া তাহা সংযত থাকে।