পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সংযমের উপকারিতা
১৯

 ইন্দ্রিয়-চাঞ্চল্যের সব কারণই বিষয়-বাসনাকে অত্যন্ত প্রবল করে। এই সব উত্তেজনা এড়াইতে পারিলে, বিষয়-তৃষ্ণা ক্রমে কমিয়া যায়। যুবক-যুবতীদের এই ধারণা আছে যে, ইন্দ্রিয়-নিগ্রহ অস্বাভাবিক ও অসম্ভব। তথাপি অনেকে সংযত জীবন যাপন করিয়া প্রমাণ করিয়া থাকেন যে, সংযম রক্ষা করিলে স্বাস্থ্যের কোনো অনিষ্ট হয় না।

 আর এক বিদ্বান ব্যক্তি বলেন, “যাহারা পূর্ণ সংযম পালন করিয়াছেন, অথবা বিবাহের পূর্ব্ব পর্যন্ত ইহা পালন করিয়াছেন, এরূপ কতকগুলি লোককে আমি জানি—ইহাদের বয়স ২৫।৩০ অথবা তাহা অপেক্ষা বেশী। এরূপ দৃষ্টান্ত বিরল নহে, তবে তাহারা নিজেদের কথা ঢাক-ঢোল পিটাইয়া প্রকাশ করেন না।”

 “যাহাদের শরীর ও মন উভয়ই সুস্থ এরূপ ছাত্রদের নিকট হইতে আমি অনেক গোপন চিঠি পাইয়াছি। ইন্দ্রিয়সংযম সুসাধ্য সে কথা আমি বিশেষ জোরের সহিত প্রচার করি নাই বলিয়া তাহারা অভিযোগ করিয়াছেন।

 ডাক্তার এক্টন বলেন, ‘বিবাহের পূর্ব্বে যুবকদের পূর্ণ সংযম পালন করা সম্ভব এবং কর্তব্য।' সার জেম‍্স্ প্যাজেট বলেন, ‘পবিত্রতা আত্মার যেমন কোনো অনিষ্ট করে না, তেমনি শরীরেরও কোনো অনিষ্ট করে না। সংযমের পথে চলা সর্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।’

 ডাক্তার পেরিয়র বলেন, ‘পূর্ণ সংযম পালন করিলে অনিষ্ট হয়, এই ধারণা অনেকের আছে। এই ভুল ধারণা নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করা দরকার। কারণ ইহাতে যে শুধু বালক-বালিকাদের মন বিগড়াইয়া দেয় তাহা নহে, তাহাদের পিতামাতার মনও বিগড়াইয়া দেয়। ব্রহ্মচর্য্য যুবকদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক উন্নতির সহায়তাকারী।’

 সার এণ্ড ক্লার্ক বলেন, “সংযম কোনো ক্ষতি করে না, শরীরগঠন ও