পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সংযমের উপকারিতা
২১

ব্যাপার লক্ষ করার যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বে, ইহাতে যে কাহারও কোনো অনিষ্ট হইয়াছে, তার কোনো প্রমাণ আমি পাই নাই।”

 “ইহা ভিন্ন শরীর-শাস্ত্রবেত্তারূপে আমি বলিব, ২১ বৎসর বা এইরূপ বয়সের পূর্ব্বে প্রকৃত বীর্য্য-পুষ্টি হয় না; এবং বিশেষভাবে কুৎসিৎ উত্তেজনা দ্বারা কু-বাসনা উদ্দীপ্ত না হইলে, তার পূর্ব্বে ইন্দ্রিয়সেবার ইচ্ছা উৎপন্ন হয় না। অকালে ইন্দ্রিয়-পরিতৃপ্তির ইচ্ছার মূলে থাকে কৃত্রিম অভাব, এবং অধিকাংশ সময় ইহা কুশিক্ষার ফল।”

 “সে যাহা হউক, নিশ্চিত জানিয়া রাখুন, স্বাভাবিক প্রবৃত্তির পথে চলা অপেক্ষা তাহা সংযত করিতে গেলে শরীরের অনিষ্টের সম্ভাবনা কম হইবে।”

 এই সব সুবিখ্যাত লোকের মত উদ্ধৃত করার পর, শ্রীযুক্ত বুরো ১৯০২ সালে ব্রসেল‍্স্ নগরে, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ও নীতিরক্ষা কংগ্রেসের অধিবেশনে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের ১০২ জন বিশেষজ্ঞ কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে যে প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছিল, তাহা উদ্ধৃত করিয়াছেন:—“যুবকদিগকে সর্ব্বোপরি এই শিক্ষা দিতে হইবে যে, ব্রহ্মচর্য্য এমন জিনিষ যাহা কাহারও কোনো অনিষ্ট তো করেই না, বরং ইহা স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পরম আবশ্যকীয়।

 বুরো তারপর লিখিতেছেন:— কয়েক বৎসর পূর্ব্বে কোনো খৃষ্টান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা-বিভাগের আচার্যগণ সর্ব্বসম্মতিক্রমে ঘোষণা করিয়াছিলেন, “পবিত্র জীবন যাপন করিলে স্বাস্থ্যের হানি হয়, এইরূপ উক্তির মূলে কোনো ভিত্তি নাই। পবিত্র নৈতিক জীবন যাপন করিয়া, কাহারও কোনো ক্ষতি হইয়াছে এরূপ কিছু আমাদের জানা নাই।”

 “এ কথা শুনা গিয়াছে এবং নীতিবিদ ও সমাজ-শাস্ত্র-ধুরন্ধরগণ শ্রীযুক্ত রায়সেনের এই স্পষ্ট সত্যের পুনরাবৃত্তি করেন যে আহার ও ব্যায়ামের