পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
দুর্নীতির পথে

ন্যায় বিষয়-ভোগের তৃপ্তির দরকার নাই। এ কথা সত্য, দুই একটি বিশেষ উদাহরণ ব্যতীত, প্রত্যেক নরনারী কোনো অসুবিধায় না পড়িয়া, কোনো প্রকার পীড়াগ্রস্ত না হইয়াই, পবিত্র জীবন যাপন করিতে পারে। বহুবার বলা সত্ত্বে ইহার পুনরুক্তি করিলে দোষের হইবে না যে, সংযম হেতু জনসাধারণের কোনো ব্যধি উৎপন্ন হয় নাই, এবং জনসাধারণই সংখ্যায় সকলের চেয়ে বেশী। ইহাও সত্য যে অনেক সর্ব্বজনবিদিত সংঘাতিক মারাত্মক ব্যাধি অসংযম হইতে উৎপন্ন হয়। প্রকৃতি সর্ব্বাপেক্ষা সরল ও অভ্রান্তভাবে খাদ্য হইতে উৎপন্ন প্রয়োজনের অতিরিক্ত শক্তির উচিত ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছে—ইহাকে আমরা মাসিক ঋতু অথবা অনায়াস- স্খলিত বীর্য্যরূপে দেখি।

 “সুতরাং ডাক্তার ভিরি ঠিকই বলিয়াছেন যে, বাস্তবিক আবশ্যকতা অথবা খাঁটি সহজাত সংস্কারের সহিত এই প্রশ্নের কোনো সম্বন্ধ নাই। সকলেই জানেন, ক্ষুধায় আহার না করিলে, অথবা শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বন্ধ করিলে, পরিণাম কিরূপ খারাপ হইতে পারে। কিন্তু সাময়িক অথবা স্থায়ী সংযমের ফলে কোনো সামান্য অথবা সাংঘাতিক ব্যারাম হইয়াছে, এ কথা কেহই লিখেন নাই। আমরা সাধারণতঃ দেখিয়া থাকি, যাহারা ব্রহ্মচর্য পালন করেন, তাহার চরিত্রবলে কাহারও অপেক্ষা ন্যূন নহেন, কম উৎসাহী অথবা কম বলবান নহেন, এবং বিবাহ করিলে সন্তানের জন্ম দিতে কম যোগ্য নহেন। যে প্রয়োজন অবস্থা অনুসারে পরিবর্ত্তিত হয়, যে সহজাত সংস্কার তৃপ্তির অভাবে শান্তভাব ধারণ করে, তাহা প্রয়োজনও নহে সহজাত সংস্কারও নহে।

 যে বালক বাড়িতেছে শারীরিক প্রয়োজনে ইন্দ্রিয়সেবা করা তাহার পক্ষে অনাবশ্যক; বরুং তাহার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৈহিক গঠনের