পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পঞ্চম অধ্যায়

ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও সংযম

ব্রহ্মচর্য্য পালনের ফলে যে শারীরিক উপকার হয় তাহা আলোচনার পর, বুরো ইহার নৈতিক ও মানসিক উপকার সম্বন্ধে অধ্যাপক মণ্টেগাজার নীচের লেখাটি উদ্ধৃত করিয়াছেন।

 “সকল মানুষ বিশেষতঃ যুবকগণ ব্রহ্মচর্য্যের ফল টাটকা পাইতে পারেন। ইহার ফলে স্মরণশক্তি স্থির ও প্রখর, বুদ্ধি উর্ব্বর, ইচ্ছাশক্তি অদম্য হয় এবং সমস্ত জীবনে এমন এক পরিবর্ত্তন সাধিত হয়, যার কল্পনাও স্বেচ্ছাচারীগণ কখনও করিতে পারে না। সংযম আমাদের পারিপার্শ্বিক জিনিষকে এমন স্বর্গীয় আভায় রঞ্জিত করে যাহা আর কিছুতেই পারে না; ইহা বিশ্বের অতি সামান্য দ্রব্যকেও উজ্জ্বল আলোকে আলোকিত করে এবং আমাদিগকে চিরস্থায়ী সুখের পবিত্রতম আনন্দের ভিতর লইয়া যায়—এ আনন্দ কখনও হ্রাস বা ম্লান হয় না। গ্রন্থকার আরও বলেন, “ব্রহ্মচর্য-ব্রতধারী তেজস্বী যুবকদের প্রফুল্লচিত্ততা ও আনন্দ এবং ইন্দ্রিয়ের দাসগণের অশান্তি ও অস্থিরচিত্ততার মধ্যে আকাশ পাতাল প্রভেদ।” তিনি তার পর কামুকতা ও চরিত্রহীনতার শোচনীয় পরিণামের সহিত সংযমের উপকারিতার তুলনা করিয়াছেন। গ্রন্থকার বলেন, “সংযমের ফলে কাহারও কোনো রোগ হয় না, কিন্তু অসংযমের ফলে যে ভয়ানক ব্যাধি হয় সে কথা কে না জানে? অসংযমের ফলে শরীর পচিয়া যায়, কল্পনাশক্তি, বুদ্ধি এবং অন্তঃকরণ পর্য্যন্ত কলুষিত হয়।