পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও সংযম
২৫

ইহার ফলে সর্ব্বত্র চরিত্রের অবনতি, ইন্দ্রিয়ের উদ্দাম প্রবৃত্তি এবং স্বার্থপরতা বৃদ্ধি হয়।”

 এ পর্যন্ত বিবাহের পূর্বে্ব ইন্দ্রিয়সেবার তথাকথিত প্রয়োজন এবং তার ফলে যুবক-যুবতীর যথেচ্ছ-বিহারের বা স্বাধীনভাবে চলার কথা বলা হইয়াছে। ইহা সত্ত্বে, যাহারা বীর্য্যনাশ করা আবশ্যক মনে করেন, তাহারা বলেন, ইহাতে বাধা দিয়া তোমরা আমাদের স্বাধীনভাবে শরীর-ব্যবহারের অধিকারে হস্তক্ষেপ করিতেছ। গ্রন্থকার সুন্দর যুক্তিদ্বারা দেখাইয়াছেন যে, সমাজের কল্যাণের জন্য ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় এরূপে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন আছে।

 গ্রন্থকার বলেন, “সমাজতত্ত্ববিদের মতে কর্ম্মের পরস্পর ঘাতপ্রতিঘাতের নাম জীবন। এমন কোনো কাজ নাই, যাহাকে আমরা অন্যান্য কাজ হইতে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন কহিতে পারি। প্রত্যেক কাজের প্রভাব সর্ব্বত্র পড়িবে। আমাদের অতি গোপন কাজ, চিন্তা, অথবা সংকল্পের প্রভাব এত দূরে ও গভীরভাবে পড়ে, যার ধারণা করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। মানুষ মানুষ বলিয়াই সামাজিক জীব। এই সামাজিক প্রবৃত্তি তাহার মনুষ্যত্বেরই অঙ্গ। ইহা সে বাহির হইতে লাভ করে নাই। মানুষের সব কাজের ভিতরকার এই অখণ্ড সম্বন্ধ বিচার না করিয়া, কখনও কখনও কোনো কোনো সমাজ দুই এক বিষয়ে লোককে স্বাধীন বানাইতে চাহে। এই স্বাধীনতাকে স্বীকার করার ফলে ব্যক্তি আপনাকে ছোট করিয়া ফেলে—আপনার মহত্ত্ব থোয়াইয়া বসে।”

 গ্রন্থকার আরও বলেন, “অবস্থাবিশেষে রাস্তায় থুতু ফেলার অধিকার যখন আমাদের নাই, তখন বীর্য্যরূপ মহাশক্তি খরচ করার স্বাধীনতা আমাদের কিরূপে থাকিবে? এ কাজ কি এরূপ যে, উপরে