পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও সংযম
২৯

আত্মা গভীর পাত্রের ন্যায়, একবার যদি ইহার উপর কলুষিত জল ফেলা হয়, তবে সহস্রবার ধুইলেও ইহার কলুষ দূর হয় না।”

 ইংলণ্ডের বিখ্যাত শরীর-শাস্ত্রবিদ কেণ্ড্রিক সাহেব বলেন:— যৌবনেন্মেষের সময় অবৈধ ইন্দ্রিয়-পরিতৃপ্তি কেবলমাত্র নৈতিক অপরাধ নহে, ইহা শরীরের পক্ষে মহা অনিষ্টকর। একবার বশ্যতা স্বীকার করিলে, এই নূতন অভাব আরও অত্যাচার করিবে, এবং মন অপরাধী হইলে ইহার কথা শুনিতে ইচ্ছা হইবে এবং ইহার শক্তি আরও বৃদ্ধি পাইবে। প্রত্যেক বারের নৃতন কাজ, গোলামীর জিঞ্জিরে এক নৃতন কড়া লাগাইবে।”

 “ইহা ভাঙ্গিবার শক্তি অনেকের থাকে না। এই প্রকারে এক অজ্ঞতা-জনিত অভ্যাসের ফলে জীবন নষ্ট হয়। ইহা হইতে রক্ষা পাইবার শ্রেষ্ঠ উপায় হইল পবিত্র চিন্তা করা এবং সব কাজে সংযতভাবে চলা।”

 শ্রীযুক্ত বুরো ডাক্তার এসকাণ্ডির লেখা উদ্ধৃত করিয়াছেন:—“মন ও সংকল্প দ্বারা মিলনের ইচ্ছাকে আয়ত্বাধীন করা যায়। ইন্দ্রিয়ভোগের প্রয়োজনীয়তার পরিবর্ত্তে ইন্দ্রিয়ভোগের ইচ্ছা শব্দ ব্যবহার করা দরকার, কারণ ইহা এমন কোনো অবশ্যকরণীয় কাজ নহে, যাহা ভিন্ন জীবন ধারণ করা অসম্ভব। অনেকে ইহাকে বিশেষ দরকারী ভাবিলেও বাস্তবিক ইহা দরকারী কাজ নহে। আমরা এ কথা বলিতে পারি না যে, প্রাকৃতিক নিয়মের বশীভূত হইয়া অনন্যোপায় হইয়া পরিণত বয়সে আমরা ইহাতে লিপ্ত হই। বরং পূর্ব্ব হইতে সংকল্প করিয়া জানিয়া শুনিয়া ইচ্ছা করিয়াই আমরা ইন্দ্রিয়সেবায় নিরত হইয়া থাকি।