পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষষ্ঠ অধ্যায়

আজীবন ব্রহ্মচর্য্য

বিবাহের পূর্ব্ব এবং পরে সংযম রক্ষা করিতে বলিয়া, এবং আত্ম-সংযম অসম্ভব বা অনিষ্টকর নহে বরং ইহা সম্ভব এবং মন ও শরীরের পক্ষে হিতকর ইহা দেখার পর বুরো আজীবন ব্রহ্মচর্য্য সম্বন্ধে এক অধ্যায় লিখিয়াছেন। তাহার প্রথম প্যারাটি এই:—

 “কাম-বাসনার গোলামী হইতে মুক্ত বীরদের মধ্যে সর্ব্বপ্রথম সেই সব যুবক যুবতীর নাম লওয়া দরকার, যাঁহারা কোনো মহান্ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আজীবন অবিবাহিত থাকিয়া ব্রহ্মচর্য্য পালন করা স্থির করিয়াছেন। তাঁহাদের এই দৃঢ় সংকল্পের ভিন্ন ভিন্ন কারণ আছে। কেহ অসহায় পিতামাতার সেবা করা কর্তব্য মনে করেন, কেহ মাতৃপিতৃহীন ছোট ভাইভগ্নীর মাতাপিতার স্থান গ্রহণ করেন, কেহ জ্ঞানের সাধনায় জীবন উৎসর্গ করেন, কেহ দরিদ্র অথবা রোগীর সেবায়, কেহ ধর্ম্ম বা নীতিশিক্ষা কার্য্যে আপনাকে নিয়োজিত করিতে চান। এই সংকল্প পালন করিতে গিয়া কাহাকে কাহাকেও পাশববৃত্তির সহিত ভয়ানক যুদ্ধ করিতে হয়, এবং ভাগ্যবশে কেহ কেহ ইন্দ্রিয় দ্বারা একরূপ প্রলুব্ধই হন না। তাঁহারা মনে মনে নিজের কাছে অথবা ভগবানের কাছে প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, যে সংকল্প তাঁহারা করিয়াছেন তাহা ত্যাগ করিবেন না এবং বিবাহের চিন্তা করা তাঁহাদের পক্ষে ব্যভিচার সদৃশ। অবস্থা বিশেষে বিবাহ করা অবশ্য কর্তব্য হইলেও, মহৎ ও উদার উদ্দেশ্য-প্রণোদিত হইয়া বিবাহ না করার সংকল্পও কোনো কোনো