পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আজীবন ব্রহ্মচর্য্য
৩৩

 বুরো সাহেব আরও বলেন, “বর্ত্তমান সমাজ-বিজ্ঞান যে পরিমাণে আমাদের নৈতিক অভিব্যক্তির অনুসরণ করিবে এবং যত গভীরভাবে ও শৃঙ্খলার সহিত আমরা সমাজের বাস্তব সমস্যা আলোচনা করিতে পারিব, সমস্ত ইন্দ্রিয়সংযমের কাজে ব্রহ্মচর্য্যের সহায়তার মূল্য আমরা সেই পরিমাণে উপলব্ধি করিতে সক্ষম হইব। বিবাহ করা আবশ্যক মানিয়া লইলেও, সকলে বিবাহ করিতে পারে না, অথবা সকলের পক্ষে ইহা আবশ্যক কিংবা উচিত বলা যায় না। যাহাদের কথা পূর্ব্বে বলা হইয়াছে তাহারা ভিন্ন আরও তিন শ্রেণীর লোক আছে, যাহাদের পক্ষে ব্রহ্মচর্য্য পালন করা ভিন্ন অন্য কোনো পথ নাই; (১) যে সব যুবক-যুবতী অর্থনৈতিক কারণে বিবাহ পিছাইয়া দেওয়া উচিত মনে করে; (২) যাহাদের উপযুক্ত পাত্র-পাত্রী জোটে না; (৩) যে সব লোকের এমন কোন রোগ আছে যাহা সন্তান-সন্ততিতে সংক্রামিত হইবার আশঙ্কা আছে, অথবা যাহারা অন্য কোনো কারণে বিবাহের চিন্তা বিলকুল ত্যাগ করিযাছে। কোনো মহৎ কার্য্য বা উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যে সব স্ত্রী-পুরুষ মানসিক ও শারীরিক শক্তির পূর্ণ অধিকারী এবং কখনও কখনও যথেষ্ট ধনসম্পদের মালিক হইয়াও আজীবন ব্রহ্মচর্য্য পালন করেন, তাঁহাদের দৃষ্টান্তে যাহারা বাধ্য হইয়া ব্রহ্মচর্য্য পালন করেন, তাহাদের ব্রতপালনে অনেক সাহায্য হয়। স্বেচ্ছা-পূর্ব্বক যাঁহারা ব্রহ্মচর্য্য ব্রত ধারণ করিয়াছেন, তাঁহাদের নিকট ব্রহ্মচারীর জীবন অসম্পূর্ণ মনে হয় না, বরং ইহাকে তাঁহারা মহৎ ও পরমানন্দপূর্ণ মনে করেন। তাঁহাদের ব্রতপালন দেখিয়া অবিবাহিত এবং বিবাহিত উভয় প্রকার ব্রহ্মচারীর নিজেদের ব্রতপালনে উৎসাহ আসে। তাঁহারা ইহাদের পথ-প্রদর্শক।

 বিবাহ করার যোগ্য বয়স যাহাদের হয় নাই, আজীবন ব্রহ্মচর্য্য