পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সপ্তম অধ্যায়

বিবাহ সংস্কার

 যে অধ্যায়ে যাবজ্জীবন ব্রহ্মচর্য পালনের বিষয় লিখিত হইয়াছে, তার পরের অধ্যায়গুলিতে বুয়ো বিবাহের কর্তব্য এবং বিবাহবন্ধনের অচ্ছেদ্যতা বিষয়ে আলোচনা করিয়াছেন। যাবজ্জীবন ব্রহ্মচর্য পালনকেই সর্বোচ্চ আসন দেওয়া সত্ত্বে তিনি বলিয়াছেন অধিকাংশ লোকের পক্ষে ইহা সম্ভবপর নহে বলিয়া, তাহাদের বিবাহ করা কর্তব্য। তিনি দেখাইয়াছেন যে, বিবাহের উদ্দেশ্য এবং বিবাহিত জীবনের নিয়মগুলি ঠিকরূপে বুঝিতে পারিলে জন্ম-নিয়োধের জন্য কৃত্রিম উপায় অবলম্বনের পক্ষে বলার কিছুই থাকে না। কুশিক্ষার ফলেই বর্তমান সময়ে দুর্নীতির প্রাদুর্ভাব হইয়াছে। তথাকথিত অগ্রগামী লেখকগণ বিবাহপ্রথাকে উপহাস করিয়াছেন। বুরো ইহাদের মত আলোচনা করিয়া লিখিতেছেনঃ-

 “এই সকল ভুয়া নীতিবিদগণের মধ্যে প্রায় সর্বত্রই প্রকৃত নীতিজ্ঞানের অভাব দেখা যায়। এমন কি অনেক স্থলে ইহাদের মধ্যে খাঁটি সাহিত্যিকতারও অভাব লক্ষিত হয়। তবে ভবিষ্যৎ বংশীয়দের পক্ষে মঙ্গলের কথা এই যে, ইহাদের মত বর্তমান কালের প্রকৃত মনস্তত্ত্ববিদ ও সমাজতত্ত্ববিদগণের মতের সম্পূর্ণ বিরোধী। চিন্তাশীল লোকে মনোরা এবং জীবনের গভীর তত্বগুলি যে ভাবে আলোচনা করেন,