পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
দুর্নীতির পথে

তার সহিত বর্ত্তমান কালের হৈ চৈ পূর্ণ সংবাদপত্র, উপন্যাস এবং থিয়েটারের বিরোধ এই যৌনসম্বন্ধের আদর্শ বিষয়ে যত অধিক, এমন আর কিছুতে নয়।”

 শ্রীযুক্ত বুরো সাহেব বিবাহ-নিরপেক্ষ অবাধ মিলনের পক্ষপাতী নহেন। তিনি মডেষ্টিনের সহিত একমত এবং ইঁহাদের মতে, ‘বিবাহ নরনারীর মধ্যে অবিচ্ছেদ্য যোগ স্থাপন করে, এই মিলন চিরজীবনের জন্য এবং ইহা দ্বারা মানবজীবনের শ্রেয় ও প্রেয় একীভূত হয়। বিবাহ কেবলমাত্র একটি আইনের চুক্তি নয়, ইহা একটি ধর্ম্মানুষ্ঠান এবং ইহার গুরুতর নৈতিক দায়িত্ব আছে। ইহার কল্যাণে বনের মানুষ সভ্য হইয়াছে। বিবাহ হইলেই নরনারী যাহা খুসি করিতে পারে এরূপ ভাবিলে অত্যন্ত ভুল করা হইবে; এমন কি স্বামী স্ত্রী যখন সন্তানোৎপাদনের নীতি লঙ্ঘন করেন না, তখনও কেবলমাত্র বিলাস বাসনা চরিতার্থ করার জন্য নানাপ্রকার মৈথুনভঙ্গীর আশ্রয় লওয়া অনুচিত। এই নিষেধ ব্যক্তিগতভাবে তাহাদের যতখানি উপকার করিবে, সমাজেরও ততখানি উপকার করিবে। দেখিতে হইবে বিবাহ যেন সমাজের মঙ্গল ও পরিপুষ্টির কারণ হয়।’ লেখক বলিতেছেন, ‘পূর্ণ সংযমের পথ হইতে বিচ্যুত হইয়া যৌনপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করার সুযোগ বিবাহিত জীবনে সর্ব্বদাই উপস্থিত হয়, এবং এগুলি প্রকৃত প্রেমের বাধাস্বরূপ। এই বিপদ হইতে মুক্ত হওয়ার একমাত্র উপায় সর্ব্বদা সতর্ক থাকা যেন ইন্দ্রিয়ভোগের পরিমাণ বিবাহের উদ্দেশ্যানুমোদিত গণ্ডী অতিক্রম না করে। স্যালেসের সাধু ফ্রান্সিস বলেন, “তীব্র ঔষধ সেবন করা সব সময় বিপজ্জনক। কারণ যদি মাত্রা বেশী হইয়া পড়ে, অথবা ঔষধ প্রস্তুত করায় কোনো দোষ থাকে, তবে গুরুতর ক্ষতি হয়। বিবাহ ধর্ম্মানুমোদিত এবং লাম্পট্য নিবারণ ইহার অন্যতম উদ্দেশ্য। ইহা