পরিশিষ্ট (ক) জনন ও অন্তজনন * ১। প্রাণীজগতে জনন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এককোষাত্মক প্ৰা পৰ্যবেক্ষণ করিলে দেখা যায় যে, নিম্নতম শ্রেণীর প্রাণীগণ একটি দুইভাগ হইয়া নিজেদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। খাদ্য গ্রহণ করিয়া ইহারা বাড়িতে থাকে এবং যতদূর সম্ভব বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইলে, প্রথমে ইহাদের প্রাণকেন্দ্র তাহার পর দেহটিও দুইভাগে বিভক্ত হইয়া যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় অর্থাৎ যখন ইহারা জল ও খাদ্য পায় তখন এই প্রকারেই ইহাদের সমস্ত প্রাণশক্তির একাশ হইয়া থাকে। কিন্তু জল ও খাদ্য না পাইলে, অনেক সময় দুইটি জীবকোষকে পুনমিলিত হইতে দেখা যায় ; তাহার ফলে পুনর্যৌবন প্রাপ্তি হইতে পারে কিন্তু নূতন জীবসৃষ্টি হয় না। বহুকোষাত্মক প্রাণীদের মধ্যে আহার ও বৃদ্ধি ছাড়া আর একটি নূতন জিনিষ দেখা যায়। দেহের বিভিন্ন কোষসকল বিভিন্ন দৈহিক কাৰ্যে নিযুক্ত হয়—কতকগুলি আহার গ্রহণ করে, কতকগুলি তাহা দেহের বিভিন্ন অংশে বণ্টন করে, এবং কতকগুলি চলাচলের কাৰ্য করে, এবং কতকগুলি, যথা ত্বক, আত্মরক্ষার কার্যে নিযুক্ত থাকে। যে সকল কোষ নূতন কার্যে নিযুক্ত হয়, তাহারা আর পূর্বের ন্যায় একটি ভাগ হইয়া দুইটি হয় না, কিন্তু দেহের অগেক্ষাকৃত অন্তঃস্থলে যে সকল কোষ
- চিকাগাে হইতে প্রকাশিত ‘ওপােন কোর্ট’ নামক পত্রিকায় ১৯২৬ সালের মার্চ
গাসে উইলিয়াম লােফাস হেয়ার কর্তৃক লিখিত প্রবন্ধ হইতে।
