পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫১
দুর্নীতির পথে
৫১

প্রাণীজগতে অন্ত নন অন্তত ততখানি পরিণতি লাভের সম্ভাবনা সইয়াই সন্তানের জন্ম হয়। এককোষাত্মক বহুকোষাত্মক অথবা দ্বিলিঙ্গ—সকল প্রকার প্রাণীর বুদ্ধি সম্বন্ধে একথা খাটে। সুতরাং ক্রমবিকাশ মূলে জাতিগত নহে, ইহা প্রাণীগত অথবা ব্যক্তিগত। কোনো প্রাণী যখন সন্তানের জন্ম দেয়, তখন সে নিজে পূৰ্বের অপেক্ষা উচ্চতর স্তরে থাকে অথবা থাকিতে পারে ; ফলে তাহার সন্তানও সেই স্তর পর্যন্ত স্বভাবত পৌছিতে সমর্থ। সন্তান জন্মদানের কাল প্রত্যেক জাতি ও প্রত্যেক প্রাণীর পক্ষে এক নহে; তবে বলা যাইতে পারে, প্রাণীগণের দৈহিক পূর্ণতালাভের পর হইতে শরীরের শক্তি কমিতে আরম্ভ করার পূর্ব পর্যন্ত সন্তান জন্ম দিবার প্রশস্ত কাল। দৈহিক পূর্ণতালাভের পূর্বে অথবা দেহের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থায় জাত সন্তান অবস্থানুযায়ী দুৰ্বল ও নিকৃষ্টদেহ পাইয়া থাকে। শরীরের এই স্বাভাবিক ধর্ম হইতেই আমরা এই যৌন-নীতি আবিষ্কার করিতে পারি যে, যদি অন্তর্জননের হানি না করিয়া সন্তান দ্বারা বংশ রক্ষা করিতে হয় তবে কেবলমাত্র দেহের পূর্ণাবস্থায় জননক্রিয়া করা উচিত। দ্বিলিঙ্গ জীব সৃষ্টির পরে কিভাবে স্ত্রী-পুরুষের লিঙ্গভেদ হইয়াছে, সে ইতিহাস আলােচনা করার প্রয়ােজন বােধ করি না, কারণ ইহার সত্যতা মানিয়া লওয়া যাইতে পারে। স্ত্রী-পুরুষভেদ-সমন্বিত প্রাণী গণের একটা নূতন লক্ষণের প্রতি দৃষ্টিপাত করা আবশ্যক। তাহা এই- দ্বিলি জীবের দুই অংশ এখন যে কেবল পৃথক-শরীর হইয়াছে তাহা নয়, পরন্তু ইহারা এখন অপরের সাহায্য ব্যতীত বীজকোষ বা কোষ উৎপন্ন করিতে থাকে। পুরুষ জীব অন্তৰ্জননের জন্য বীজকোষ উৎপন্ন করে-আবার এই বীজকোষই অননক্রিয়ার জন্য বাহিরে উৎক্ষিপ্ত হয় এবং পুরুষের বীৰ্য বলিয়া অভিহিত হয়। স্ত্রী-জীৰও গুপ