পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫২
দুর্নীতির পথে
৫২

দুর্নীতির পথে বীজকোষ উৎপন্ন করে, তবে স্ত্রী কর্তৃক উৎপন্ন অণ্ড সকল বাহিরে নিক্ষিপ্ত না হইয়া দেহের ভিতরেই থাকে এবং সেখানে ইহা পুরুষ-বীর্যের সহিত মিলিত হইয়া গর্ত উৎপাদন করে। কিন্তু স্ত্রী পুরুষ উভয়ের পক্ষেই অর্জনন একান্ত আবশ্যকীয়। গর্ভ সঞ্চারের পর হইতে প্রতি মুহূর্তেই অন্তর্জননক্রিয়া ক্রমশ অধিক পরিমাণে চলিতে থাকে। দেহের পূর্ণতা- লাভের পর মানুষের মধ্যে জননক্রিয়া হইতে পারে ; ইহাতে জাতিরক্ষা হয় বটে, কিন্তু ব্যক্তির উপকার যে হয় তাহা বলা যায় না। অন্তৰ্জনন বন্ধ হইলে অথবা যথারূপ না হইলে, নিম্নশ্রেণীর জীবের ন্যায় মানুষেরও রােগ অথবা মৃত্যু আসিয়া উপস্থিত হয়। মানুষের ভিতরেও ব্যক্তি এবং ভবিষ্যৎ জাতির স্বার্থ এইরূপ পরস্পরবিরােধী হইতে দেখা যায়। যদি বীজকোযের আধিক্য না থাকে, তবে জননের জন্য ইহা ব্যয় করিলে অর্জনের উপাদান কম পড়ে। প্রকৃতপক্ষে সভ্য মানব-সমাজে জাতি- কার জন্য যতটা প্রয়ােজন তাহার অতিরিক্ত যৌন-সম্ভোগ চলে এবং এৰূপে অন্তর্জনন ব্যাহত হয়-ফলে রােগ ও অকালমৃত্যু দেখা দেয়। মানবদেহ সম্বন্ধে আর একটু বিশেষ আলােচনা করা যাউক। আমরা পুরুষের দেহকেই নিদর্শন স্বরূপ গ্রহণ করিব, যদিও স্ত্রীদেহ সঙ্গে একই কথা খাটে। কেন্দ্রীয় বীজকোষাগারই প্রাণের আদিম ও নিগূঢ়তম আশ্রয়। প্রথম হইতেই জ্বণ ক্ষণে ক্ষণে এবং দিন দিন জীবকোষবৃদ্ধির দ্বারা বাড়িতে কে; এই জীবকোষগুলি মাতার শরীর-নিসৃত রসের দ্বারা পুষ্ট হয়। এখানেও জীবকোষগুলিকে পােষণ করাই জীবনের ধর্ম। এই জীবকোষ সফল যখন বৃদ্ধি পাইতে থাকে, তখন তাহারা ভিন্ন ভিন্ন সাময়িক অথবা পায়ী আকার এবং কার্যভার গ্রহণ করে। মাতৃদেহ হইতে জন্মলাভ করার পরও এ নিয়মের ব্যতিক্রম হয় না। জ্বণ মাতৃগর্ভে নাড়ী যারা .