পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫৩
দুর্নীতির পথে
৫৩

অন্তর্জনন ও অগােচর খাদ্য গ্রহণ করিত, তাহার পরিবর্তে শিশু এখন মুখ দিয়া যায়। জীব- কোষগুলির পুষ্টি সাধনের জন্যই এই খাদ্য গ্রহ। এই জীবকোষের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি হইয়া থাকে, এবং শরীরের যখন যে অংশে প্রয়ােন তখন সেই অংশে গিয়া তাহার অকর্মণ্য তন্তুগুলির সংস্কার করিয়া থাকে। মূলকেন্দ্র হইতে জীবকোষগুলি রক্তে আসে এবং রক্তের সহিত শরীরের সৰ্বত্ৰ যায়। জীবকোষগুলির এক একটি সমষ্টি এক একটি দৈহিক ক্রিয়ার জন্য নিযুক্ত হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের সংস্কারকার্য করিয়া থাকে। এই জীবকোষগুলি নিজেরা সহস্রবার মরিয়া ‘জীবকোষের সমাজকে অর্থাৎ দেহপ্রাণকে বাঁচাইয়া রাখে। ইহাদের মৃত দেহ উপরের দিকে আসিয়া শক্ত হইয়া অস্থি, দন্ত, চর্ম, কেশ প্রভৃতিতে পরিণত হয় এবং দেহকে রক্ষা ও বলবান করে। ইহাদের মৃত্যু বিনিময়েই দেহের উচ্চতর জীবন এবং তার উপর নির্ভরশল অপর যাহা কিছু বাঁচিয়া থাকে। জীবকোষসকল যদি খাদ্য গ্রহণ না করিত, যৰি ইহাদের সংখ্যা বৃদ্ধি না হইত, যদি ইহারা শরীরের বিভিন্ন অংশে না যাইত এবং বিভিন্ন ক্রিয়া না করিত এবং পরিশেষে না মরিত তবে সেই বাঁচিয়া থাকিতে পারিত না। পূৰ্ব্বকথিত মতে দেখা যায় যে, বীজকোষ হইতে দুই প্রকার প্রাণের উদ্ভব হয় : (১) আভ্যন্তরিক বা অন্তর্জনীয় (২) বাহ্যিক বা জননীয়। অন্তর্জননই দেহের জীবনের ভিত্তি এবং অন্তর্জনন ও জননের উপাদান একই মূল হইতে আহৃত হয়। ইহা হইতেই বুঝা যাইবে কিরূপে খ নন ও জনন অবস্থাবিশেষে পরস্পরবিরােধী হইয়া থাকে। ৩। অজনন ওঅপােচ অনিন ক্রিয়ার প্রতি যান্ত্রিক নহে, পরন্ত একটি দীৰ ভাগ, হইয়া দুইটি হইবার প্রণালীর ন্যায় ইহা জৈবিক; অর্থাৎ ইহাতে বুটি