পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫৪
দুর্নীতির পথে
৫৪

৫৪ দুর্নীতির পথে এবং ইচ্ছাশক্তির প্রকাশ দেখা যায়। যে শক্তিতে এক দেহ হইতে আর এক দেহ উৎপন্ন হইতেছে, দেহকোষসকল ভিন্ন ভিন্ন কার্যে নিযুক্ত হইতেছে—তাহার প্রকৃতি যে বিলকুল নির্জীব কলের ন্যায় তাহা ধারণা করা অসম্ভব। একথা সত্য যে, আমাদের বর্তমান চেতনা হইতে এই প্রাণশক্তির কাৰ্য্য এতদূরে গিয়া পড়িয়াছে যে, দেখিয়া মনে হয়, প্রাণ- শক্তির কাৰ্য্যের উপর মানুষের অথবা অপর জীবের ইচ্ছাশক্তির কোনাে প্রভাব নাই। কিন্তু একটু চিন্তা করিলেই বুঝা যায় যে, যেমন পরিণতদেহ মানুষের ইচ্ছাশক্তি বুদ্ধির দ্বারা চালিত হইয়া তাহার সকল কার্য এবং অঙ্গসঞ্চালন নিয়ন্ত্রিত করে, তেমনি দেহগঠনের প্রথম অবস্থার ক্রিয়া সকল অবস্থা উপযােগী এক ধরণের বুদ্ধি দ্বারা চালিত একপ্রকার ইচ্ছাশক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। মনস্তত্ত্ববিদগণ আজকাল ইহার ‘অগােচর’ নাম দিয়াছেন। ইহা আমাদের অস্তিত্বের অংশ। যদিও আমাদের প্রাত্যহিক চিন্তাধারার সহিত ইহার যােগ নাই, তথাপি ইহা সদা জাগ্রত এবং আপন কাৰ্যে সদা তৎপর। আমাদের নিদ্রার সময় গােচর মন নিদ্রিত হয় কিন্তু এই অগােচরের নিদ্ৰা নাই। অর্জননের ক্রিয়াসমূহ অগােচরের কর্তৃত্বাধীনে হয়। গর্ভসঞ্চারের পর হইতে মৃত্যু পর্যন্ত ইহা বীজকোষ সকলকে দেহের রক্তে সঞ্চারিত করে এবং শরীরের যেখানে যখন প্রয়ােজন পাঠাইয়া দেয়। যদিও বহু বিখ্যাত মনস্তত্ত্ববিদের মত অন্যরূপ, তথাপি আমি বলিতে চাই যে, অগােচরের কাৰ্য জীব লইয়া, জাতি লইয়া নয়, সুতরাং ইহার প্রধান লক্ষ্যের বিষয় অন্তর্জনন। ‘অগােচর' জাতির ভালমন্দের জন্য ব্যস্ত, এ কথা কেবল এক অর্থে বলা যাইতে পারে—তাহা এই যে, অগােচরে তারা জীবের দেহগঠন একবার যে উন্নত অবস্থায় নীত হয়, অগােচর তাহাকে স্থায়ী করার চেষ্টা করে। কিন্তু ইহা অসম্ভবকে সম্ভব করিয়া