পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫৫
দুর্নীতির পথে
৫৫

জনন ও মৃত্যু তুলিতে পারে না—গােচর মনের ইচ্ছাশক্তির সাহায্য লইয়াও ইহা প্রাণীকে অনন্তকাল ধরিয়া বাঁচাইয়া রাখিতে পারে না। সুতরাং মৈথুনাসক্তির দ্বারা ইহাকে সৃষ্টি করিতে হয়। মৈথুনাসক্তিতে গােছর এবং অগােচর মনের ইচ্ছাশক্তি একত্র মিলিত হয় এরূপ বলা যাইতে পারে। মৈথুনে যে আনন্দ আছে, তাহা হইতে বুঝা যায়, মৈথুনকার্যের দ্বারা জীবের উদ্দেশ্য ভিন্ন অপর কোনো (অর্থাৎ জাতির উদ্দেশ্য ও সাধিত হয়। এই মৈথুনের আনন্দের জন্য জীবকে অজ্ঞাতে বড় বেশ দাম দিতে হয়। হিব্রুলেখক ঈশ্বরের মুখ দিয়া এই সত্যই প্রকাশ করিয়াছেন। ঈশ্বর ইভকে জলদগম্ভীর স্বরে বলিতেছেন “বহু গর্ত- সঞ্চারের দ্বারা তােমার দুঃখ বৃদ্ধি পাইবে; গভীর যন্ত্রণায় তুমি সস্তান প্রসব করিবে।” ৪। জনন ওমৃত্যু বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞদের গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত বাক্যদ্বারা এই প্রবন্ধের কলেবর বৃদ্ধি করা উচিত বিবেচনা করি না, কিন্তু এই বিষয়টি এত গুরুতর এবং এ সম্বন্ধে সাধারণের অজ্ঞতা এত বেশী যে, আমি কয়েকজন পণ্ডিতের লেখা উদ্ধৃত করিতে বাধ্য হইতেছি। রে ব্যাংকেষ্টার বলেন :- “এককোষাত্মক নিম্নতম জীবের দেহগঠন এবং বংশবৃদ্ধির বিভাগ প্রণালীর ফল এই যে, ইহাদের মধ্যে মৃত্যু পৌনপৌনিক স্বাভাবিক ব্যাপার নয়।” উইম্যান লিখিয়াছেন—“বহুকোষাত্মক জীবের মধ্যেই মৃত্যু স্বাভাবিক ব্যাপার ; এককোষাত্মক জীবের মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু ইহাদের বৃত্তির এমন কোনাে শেষ অবস্থা নাই, যাহাকে মৃত্যু