পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুর্নীতির পথে

সমস্যার কথা ও এই বিষয় সম্বন্ধীয় পুস্তক পাঠকরার কথা ভাবিতেছিলাম, তখন একখানা ইংরেজী বই আমার হাতে পড়ে। ইহাতে সুন্দররূপে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিকভাবে ঠিক ইহাই আলোচিত হইয়াছে। মূল গ্রন্থখানি মুক্ত পালবুরো নামক এক ব্যক্তি ফরাসী ভাষায় লিখিয়াছেন। বইটির নাম ‘ভ্রষ্টাচার'।

 এই বই পড়িয়া মনে হইল, গ্রন্থকারের অভিমত সংক্ষেপে প্রকাশ করিবার পূর্ব্বে, কৃত্রিম উপায় সমর্থন করিয়া যেসব বই প্রকাশিত হইয়াছে তার ভিতর হইতে প্রধান প্রধান বই পড়িতে হইবে। এ জন্য ‘ভারত সেবক সমিতি’র (Servants of India Society) নিকট যে সব বই ছিল তাহা আনিয়া পড়িলাম। কাকা কালেলকর ইহা আলোচনা করিতেছিলেন। তিনি আমাকে হ্যাভলক্ এলিসের একখানা বই দিয়াছেন এবং একজন বন্ধু ‘দি প্রাকটিশনার’ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা দিয়াছেন—এই সংখ্যায় বিখ্যাত চিকিৎসকদের অভিমত সংগৃহীত হইয়াছে।

 শ্রীযুক্ত বুরোর সিদ্ধান্তের সত্যতা পরীক্ষার জন্য, যাহারা চিকিৎসক নহেন তাহাদের পক্ষে যতটা সম্ভব, আমি এই বিষয়ের সাহিত্য সংগ্রহ করিতে ততটা চেষ্টা করিয়াছি। বৈজ্ঞানিকদের ভিতর কোনো প্রশ্ন লইয়া আলোচনা হইলে প্রায়ই দেখা যায় যে, ইহার দুটি দিক আছে এবং দু’দিকেই যথেষ্ট বলার আছে। এ জন্য বুরোর গ্রন্থ পাঠকদের নিকট উপস্থিত করার পূর্বে কৃত্রিম উপায়ের পক্ষপাতীদের সমস্ত যুক্তি জানার ইচ্ছা হইয়াছিল। অনেক চিন্তার পর আমি এই স্থির সিদ্ধান্তে পৌছিয়াছি যে, অন্ততঃ পক্ষে ভারতবর্ষে কৃত্রিম উপায় প্রবর্ত্তনের কোনো প্রয়োজন নাই। যাহারা ভারতে ইহা প্রচার করিতে চাহেন, তাহারা হয় ভারতের প্রকৃত অবস্থা জানেন না, না হয় জানিয়াও তাহা গ্রাহ্য