পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫৬
দুর্নীতির পথে
৫৬

দুনীতির পথে বলা যাইতে পারে এবং নূতন প্রাণীর সৃষ্টির সঙ্গে পুরাতনের মৃত্যু হয় না। একটি এককোষাত্মক প্রাণী বিভক্ত হইয়া দুইটি হইলে, দুই ভাগই সমান হয়, একটির অপেক্ষা অপরটি অধিক বৃদ্ধ এ কথা বলা যায় । এইরূপে একটি অনন্ত জীবধারা চলিতে থাকে—যাহার প্রত্যেকটি জীব নিজ জাতির সমবয়সী, প্রত্যেকটির অনন্তকাল ধরিয়া বাঁচিয়া থাকার শক্তি আছে, যাহার প্রত্যেকটা পুনঃ পুনঃ দুইভাগ হয় কিন্তু কখনও মরে না।” প্যাটিক গেডিসের “যৌন ক্রমবিকাশ” নামক গ্রন্থ হইতে উপরের উদ্ধৃত অংশগুলি লওয়া হইয়াছে। তিনি লিখিয়াছেন; “অতএব আমরা বলিতে পারি যে, মৃত্যুই দেহের মুল্য-দেহ লাভ করিলে এবং দেহ থাকিলে মৃত্যু আগে হউক পরে হউক একদিন আসিবেই। যাহাতে বিভিন্ন ক্রিয়ার জন্য কোষসকলের মধ্যে শ্রমবিভাগ দেখা যায় দেহ বলিতে এখানে সেইরূপ একটি জটিল জীবকোষ বুঝাইতেছে।” উইজম্যানের মূল্যবান বাক্য পুনরায় উদ্ধৃত করিতেছি। “দেহকে জীবশক্তির প্রকৃত আশ্রয়ের অর্থাৎ জননকারী জীবকোষসকলের একটি

  • নিতান্ত গৌণ উপাঙ্গ বলিয়াই মনে হয়।”

রে ল্যাংকেষ্টারেরও সেই ধারণা। কোষাত্মক প্রাণীগণের মধ্যে কতকগুলি জীবকোষ দেহের মূল উপাদানভূত জীবকোষগুলি হইতে ভিন্ন হইয়া আসে। এই ভাবে দেখিলে উচ্চতর প্রাণীগণের মরণশীল দেহগুলিকে সাময়িক ও গৌণ বলিয়া ধরা যাইতে পারে। কেবলমাত্র কিছুকালের জন্য মৃত্যুহীন জাগজাত কোষগুলির ধারণ ও পুষ্টিসাধন করাই ইহাদের কাজ। কিন্তু এই সকল তথ্যের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুতর এবং সত সর্বাপেক্ষা বিস্ময়কর তথ্য এই যে, উচ্চশ্রেণীর জীবসমূহের মধ্যে নয় তিনি বলেন, “বহু