পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিষয় প্রবেশ

করেন না। কিন্তু যদি প্রমাণ করা যায় যে, কৃত্রিম উপায় পাশ্চাত্য দেশেরও অনিষ্টকর, তবে ভারত সম্বন্ধে ইহা আলোচনা করা দরকার হইবে না।

 দেখা যাক্, বুরো কি বলেন। তিনি ফ্রান্স্, সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন। কিন্তু ইহা আমাদের পক্ষে যথেষ্ট, কারণ ফ্রান্সের অর্থ অনেক। ইহা পৃথিবীর অন্যতম উন্নত দেশ। যদি ফরাসী দেশে এই প্রণালী সফল না হইয়া থাকে, তবে ইহা কোথায় সফল হইবে?

 ‘অসফলতার’ অর্থ লইয়া মতভেদ হইতে পারে। সে জন্য এখানে যে অর্থে ইহা ব্যবহার করিয়াছি তাহা বলিব। যদি প্রমাণ করা যায় যে, কৃত্রিম উপায় অবলম্বনের ফলে লোকের নীতিজ্ঞান শিথিল হইয়াছে, ব্যভিচার বৃদ্ধি পাইয়াছে এবং স্বাস্থ্য রক্ষা ও অর্থনৈতিক কারণে গভনিরোধের জন্য ইহার ব্যবহার না করিয়া শুধু পাশববৃত্তি চরিতার্থ করার অন্য লোকে ইহার আশ্রয় লইতেছে, তবে নিশ্চয়ই বুঝান হইবে যে, এই প্রণালী অকৃতকার্য হইয়াছে। কৃত্রিম উপায়ে জন্ম-নিয়ন্ত্রণ করা মধ্যম পন্থা। উৎকৃষ্ট নৈতিক সিদ্ধান্ত অনুসারে কৃত্রিম উপায়ে সন্তাননিয়ন্ত্রণ করা সর্ব্বাবস্থায় দোষনীয়। যেমন শরীর রক্ষার উদ্দেশ্য ভিন্ন নর-নারীর আহার করা উচিত নহে, তেমনি সন্তান লাভের উদ্দেশ্য ভিন্ন কামেন্দ্রিয় চরিতার্থ করার প্রয়োজন নাই। তৃতীয় আর এক শ্রেণীর লোক আছে। তাহারা বলে, ‘নীতি বলিয়া কোনো কিছু নাই, থাকিলেও ইহার অর্থ সংযম নহে; ইহার অর্থ খুব বিষয়ভোগ করা; ইন্দ্রিয়সেবাই জীবনের উদ্দেশ্য; একটু নজর রাখিতে হইবে ইন্দ্রিয়সেবা করিতে করিতে শরীর নষ্ট না হয়, কারণ ইহাতে ভোগে ব্যাঘাত পড়িবে।’ এইরূপ উৎকট ভোগপন্থী লোকের জন্য বুরো তাহার পুস্তক লেখেন নাই, কারণ বুরো টম‍্ম্যানের যে কথাটি উদ্ধৃত করিয়া তাহার