পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৬৮
দুর্নীতির পথে
৬৮

দুর্নীতির পথে অতএব লােকে সাধারণত যাহা ভাবে খৃষ্টীয়-প্রেম সেরূপ নয়—ইহা দুর্বলের ভাবাবেশ মাত্র নয়। স্বভাবতই ইহা ভাবাবেগের উপরে ; এবং ইচ্ছাশক্তির প্রয়ােগ ছাড়া ইহা লাভ করা যায় না। আবার ইহা কেবলমাত্র ইচ্ছাশক্তিতে হয় না, ইচ্ছাশক্তির সহিত সাধুতা থাকা চাই। খৃষ্টান যখন এই প্রেম দান করে, তখন সে অপরের (cros) কামনাজাত আকাঙ্খসমূহের সফলতালাভের সাহায্য করিয়া থাকে। ঈশ্বরের ন্যায় সেও তখন মানুষের কি কি বস্তুর প্রয়ােজন তাহা জানে। কল্পনা এবং দয়াবৃত্তির দ্বারা সে অপরের প্রয়ােজন সাধনে প্রণােদিত হয়, কারণ সে অন্যের নিকট যেরূপ ব্যবহার পাইতে ইচ্ছা করে, অন্যের প্রতি সেরূপ ব্যবহার করে। সে জানে, যেমন তাহার তেমনি অপর সকলেরও প্রয়ােজনের দাবী আছে। খৃষ্টীয় ধর্ম কামের দাবী অগ্রাহ্য করে না, পরন্তু প্রেমের উপর বেশী জোর দেয়। খৃষ্টীয় নীতিধৰ্ম্ম মানবকে একটি নূতন পথের সন্ধান বলিয়া দেয়, এবং তাহাকে স্বার্থানুসন্ধান হইতে বিশ্বের কল্যাণ সাধনায় নিয়োজিত করে। প্রথম যুগের খৃষ্টানগণকে এই মূল্যবান সমন্বয় নীতির উপদেশ দেওয়া তবে ইহা অপেক্ষা উচ্চতর এবং অপার্থিব একটি আদর্শ তাহাদের দেখান হইয়াছিল। তাহা এই—মানুষকে ঈশ্বরের অনুকরণ করিতে হইবে। ঈশ্বর প্রেমে ও করুণায় যেমন পূর্ণ তাহার সেবকদেরও সেরূপ হইতে হইবে, কারণ “ঈশ্বর প্রেমস্বরূপ। ৮। সামাজিক সম্রোণনীতি যেমন ব্যক্তির সমষ্টি লইয়া সমাজ, সেইরূপ ব্যক্তিগত সম্ভোগনীতি হইতেই সামাজিক সম্ভোগনীতির উৎপত্তি। অন্য Fথায়, সমাজ ব্যক্তি- গত সদ্যোগনীতির সহিত কিছু জুড়িয়া ইহার সীমা নির্দেশ করিতে চায়।