পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৭০
দুর্নীতির পথে
৭০

90 দুর্নীতির পথে করে, স্ত্রীও সেইরূপ সুন্দর পুরুষের খোঁজে ছুটাছুটি করে। যদি স্ত্রী- পুরুষের অবাধ, স্বাভাবিক এবং মানসিক বাসনার উপর কোনো লাগাম থাকে, তবে কি প্রাচীন, কি আধুনিক সকল মনুষ্য-সমাজের নিশ্চয়ই নাশ হইবে। মনুষ্যেতর সব জানােয়ারের ভিতরও সন্তান- উৎপাদন বাসনার আতিশয্য আছে। ইহাকে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য সমাজ প্রথমত বিবাহপ্রথা এবং পরিশেষে এক-বিবাহপ্রথা আবিষ্কার করিয়াছে। স্ত্রীপুরুষের অবাধ মিলনই ইহার একমাত্র বিকল্প ; এরূপ অবাধ মিলনের ফলে আধুনিক সমাজ ধ্বংস হইবে। এক-বিবাহপ্রথা ও অবাধমিলনের একটি সংগ্রাম চলিতেছে তা আমরা দেখিতেছি। বেশ্যাবৃত্তি, অনিয়মিত ও অবৈধ মিলন, ব্যভিচার ও তালাক দেখিয়া দিন দিন মনে হয় যে এক-বিবাহ প্রথা এখন পর্যন্ত পুরাতন ও আদিম সম্বন্ধ দূর করিয়া নিজের প্রাধান্য স্থাপন করিতে পারে নাই। কোনাে কালে কি পারিবে ? যাহা বহুদিন হইতে গুপ্তভাবে প্রচলিত ছিল, কিন্তু হালে নির্লজ্জ ভাবে মাথা তুলিতে সুরু কবিরাছে, সেই সন্তান-নিরােধ সম্বন্ধে কিছু বলা দরকার। এজন্য এমন সব ঔষধ ও যন্ত্রপাতির সাহায্য লওয়া হয় যাহাতে গর্ভসঞ্চার হইতে পারে না। গর্ভসঞ্চার হইলে অবশ্য নারীর উপর ভার পড়ে, কিন্তু ইহা পুরুষের প্রবৃত্তিকে বিশেষত দয়ালু পুরুষের প্রবৃত্তিকে অনেক সময় সংযত রাখে। সন্ততিনিরােধ প্রচলিত হইলে বিবাহিত জীবনে আত্মসংযম করার কোনাে তাগিদ থাকে না, এবং যতক্ষণ ইচ্ছা না কমে অথবা ইন্দ্রিয় শিথিল না হয়, ততক্ষণ কামবাসনা তৃপ্ত করা সম্ভব হয়। তা ছাড়া স্বামীস্ত্রীর উপর বিবাহিত জীবনের বাহিরেও ইহার প্রভাব পড়িতে পারে। ইহা অনিয়মিত, অবাধ এবং নিল সদ্যোগের দরজা খুলিয়া দেয়-আধুনিক শিল্প, সমাজবিজ্ঞান এবং