পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৭৬
দুর্নীতির পথে
৭৬

Theis 27 47 ৭৬ দুনীতির পথে কুমারীকে পুষ্পকলির সহিত তুলনা করা যায়। অপবিত্র বিবাহের দ্বারা সে মলিন হইয়া যায়, পাপড়িগুলি খসিয়া যায়। ফুল যার প্রিয়, কুমারী ও পবিত্রতাও তার প্রিয়। ফুলের বাগান এবং বেশ্যালয়ে যে তফাৎ প্রেম ও কামে সেই তফাৎ। I Biberg নামক উদ্ভিদতত্ত্ববিদ পণ্ডিত লিখিয়াছেন, “প্রাণী জগতে প্রকৃতি জননেন্দ্রিয়গুলিকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে লুক্কায়িত রাখিবার প্ৰয়াস করিয়াছে, যেন সেগুলি লজ্জার বিষয় ; কিন্তু উদ্ভিদ জগতে তাহারা পরিদৃশ্যমান এবং যখন তরুসকলের বিবাহ হয় তখন পৃথিবীতে কি আনন্দধারা বহিয়া যায় ! পৃথিবী বর্ণে উজ্জ্বল এবং গন্ধে আমােদিত হইয়া উঠে, মধুমক্ষিকা, কীট পতঙ্গ ফুলের মধু ভাণ্ডার হইতে মধু এবং শুফরেণু হইতে মােম আহরণ করে। লিনিয়াস (Linnaeus) ফুলের ঘরটিকে বলিয়াছেন বাসরঘর এবং পাপড়ির ভিতর দিকের আবরণটিকে বলিয়াছেন পরদা। এই ভাবে তিনি ফুলের প্রত্যেক অংশের বর্ণনা করিয়াছেন। কে জানে হয়ত ফুল জগতেও অনেক দুষ্টাত্মা আছে, যাহাদের স্পর্শে ফুলের জ্যোতি ম্লান হইয়া যায়, যাহারা ফুলের গন্ধ অপহরণ করে এবং তাহাদের বিবাহকে পঙ্কে লিপ্ত করে। তাই বুঝি সকল ফুল সমান আনন্দ দেয় না! নীচু জমিতে বর্ষাকালে এক রকম ফুল ফোটে যাহার গন্ধ পূতিগন্ধের মত। যৌন মিলন অপূর্ব সুন্দররূপে আমি কল্পনা করি। এত সুন্দর ষে তাহা স্মরণে থাকে না। ঠিক যেমনটি তেমনটি কিছুতেই ভাবিয়া মনে আনা যায় না। ললাকে বলে জগতে দৈবীশক্তির প্রকাশ আজকাল আর হয় না। কিন্তু যতদিন জগতে প্রেম আছে, ততদিন সে কথা বলা চলে না।