পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বিতীয় অধ্যায়

অবিবাহিতদের ভিতর ভ্রষ্টাচার

শ্রীযুক্ত বুরো বলেন, “গর্ভপাতের সহিত শিশু হত্যা, ব্যভিচার এবং এইরূপ আরও অনেক পাপ বাড়িয়াছে। এ সব শুনিলে ছাতি ফাটিয়া যায়। শিশুহত্যা সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বলিবার নাই, তবু এইটুকু বলিব, অবিবাহিত মাতাদের গর্ভ-নিরোধ ও গর্ভপাতের নানা সুবিধা দেওয়া সত্বে, শিশুহত্যা অপরাধ পূর্ব্বাপেক্ষা বৃদ্ধি পাইয়াছে। ইহাতে তথাকথিত সম্মানী লোকদের মনে দণ্ড দেওয়া অথবা ভর্ৎসনা করার কথা জাগে না এবং আদালত হইতে এই সব ব্যাপারে প্রায়ই বেকসুর খালাস রায় দেওয়া হইয়া থাকে।”

 অশ্লীল সাহিত্যের প্রচার কিরূপ বৃদ্ধি পাইয়াছে, বুরো এক অধ্যায়ে শুধু তাহাই আলোচনা করিয়াছেন। সাহিত্য, নাটক ও চিত্রাদি লোকের মানসিক আনন্দ ও স্বাস্থ্য দান করিবে। কিন্তু অশ্লীল সাহিত্য ও চিত্রাদি বিক্রয় করিয়া অর্থশোষণের উদ্দেশ্যেই অনেকগুলি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। সর্ব্বত্র এই সাহিত্যের চাহিদা আছে, ইহা বিক্রয় হইতেছে এবং ইহার চর্চ্চা হইতেছে। খুব বুদ্ধিমান লোকে এই সাহিত্য-ব্যবসায় করিতেছে এবং কোটি কোটি টাকা এই কারবারে খাটিতেছে। লোকের মনের উপর এই সাহিত্যের ভয়ানক বিষাক্ত প্রভাব পড়িয়াছে। এই সব পুস্তক পাঠ করার সময় তাহারা মনে মনে এক নূতন ব্যভিচারী দুনিয়া ভোগ করে—এই সাহিত্যই সেই কল্পনারাজ্য সৃষ্টির মূলে আছে।