পাতা:দূর্গাপুজার বলি ও জীব বলি.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীব-বলি । (፩ &} রামচন্দ্ৰ যে দুর্গাপূজা করিয়াছিলেন এবং দেবীর কৃপায় মহাবীর সিদ্ধ মনোরথ হন, এ বিশ্বাস জনসাধারণ বঙ্গবাসীর হৃদয়ে বদ্ধমূল হইয়া রহিয়াছে। পূর্বেই বলিয়াছি, মূল রামায়ণ হইতে ঘুণাক্ষরে এ তত্ত্ব পাওয়া যায় না । এমন কি রামচন্দ্রের আপনি দেশের ভাষা-রামায়ণ তুলসীদাসেও এ সময়ে দেবী-পূজার উল্লেখ নাই। মনে রাখিবেন, কৃত্তিবাসের এ পূজায়ও জীন-বলির নামগন্ধ নাই।* যাহা হউক, মন্ত্র যখন আছে, মানিতেই হইবে, আমরা শরৎকালে যে পূজা করি, তাহ রামচন্দ্রের পূজা। তাহা হইলে ইহাও স্বীকার করিতে হয় যে রামচন্দ্রের পূজার উদ্দেশ্য ছিল শত্ৰু-নাশ। আমাদের বোধন-মন্ত্র হইতে বুঝা যায়, আমাদের পূজার উদ্দেশ্যও শত্ৰনাশ। মন্ত্রটি, (སྔོ་ཡང་མ་ ‘রাবণস্য বধার্থায় রামস্যাম্বুগ্রহায় চ। অকালে ব্ৰহ্মণ বোধো দেব্যাস্তব কৃতঃ পুবা ॥ অহমপ্যাশ্বিনে তদ্বন্দ বোধয়ামি সুরেশ্বৰীম।। পূজান গৃহাণ সুমুখি নমস্তে শঙ্করপ্রিয়ে৷” r

  • কৃত্তিবাস পাঁচশত বৎসর পূর্বের বাঙ্গালী,তাহার সময়ে দুর্গাপূজায় হয়ত বলিদান ছিল না ; মকুন্দরাম ৩৫০ বৎসর পূৰ্ব্বেকার লোক, তঁহার সময়ে বঙ্গদেশে দুর্গাপূজার বলিদানের ধূম লাগিয়াছে দেখা যায়।

অনেকের হয়ত জানা না থাকিতে পারে, দুর্গোৎসব বাঙ্গাল দেশের, বাঙ্গালী জাতিরই পরব। ভারতের অপর কোন স্থানে বাঙ্গালী ভিন্ন অপর হিন্দুদিগের C মহামায়ার প্রতিমা গঠিয়া এত ধুমধাম নাই। কেহ কেহ বলেন, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমল হইতে বঙ্গদেশে দুর্গোৎসবের প্রাদুর্ভাব সমধিক ; মাত্র দেড়শত বৎসরের কথা ; অবশ্য শক্তিপূজা আরম্ভের কথা হইতেছে না। লক্ষ্মী-সরস্বতী-কাৰ্ত্তিক-গণেশ-পরিবৃতা দশভূজা মৃন্ময়ী প্রতিমার পূজা বাঙ্গালীর মধ্যেই চলিত। অপরাপর স্থানে, যেখানে শক্তি-মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত,সেই মূৰ্ত্তিরই পুজা হয়। অনেক স্থানে ঘটস্থাপন করিয়া পূজা হয়।