পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোটে বসে আছিস । আমি খেয়ে আসি, আমিও থাকব। আমি বললাম-না শৈলদি, আমরা দুজন আছি, ভগ্নীপতি এসেচে-তোমার আর কী করতে হবে না । তারপর বাইরে ডেকে টাকার কথা বললাম। শৈলদি বললে-কত টাকা ? -গোটাকুডি দাও গিযে এখন। কাল সকালেই আমি তা হ’লে চলে ঘাই ডাক্তার verfiet&V- ASS D DBBD BDD BBDBB DBBD DBBD BDBBD BDuD BBBD BB DDD SS ggD DD তো পথ-কেমন তো ? ছোটকাকীমা এই সময এলেন। শৈল্যদিকে দেখে বললেন-জিতুব মাকে নিয়ে বেজ” মুশকিল হযেচে ভাই-ওরা ছেলেমানুষ, কি বা বোঝে-নিতু এখনও তো এল না। হঠাৎ চাং পাঁচ দিনের জরে ষে মানুষ এমন হযে পড়বে তা কি ক’রেই বা জানবো। তবুও তো জিন্তু কোথা থেকে ঠিক সময়ে এসে পড়েছিল তাই রক্ষে । রাতে জ্যাঠাইমাও এসে খানিকটা বসে রইলেন । অনেক বাত্রে সবাই চলে গেল, আমি সীতাকে বললাম-তুই ঘুমিয়ে নে সীতা । আমি জেগে থাকি। বাতে কোন ভয নেই। সকাল বেলা আটটা-নটার পাব থেকে মা’র অবস্থা খুব খারাপ হ’ল । দশটার পর দাদ এল-সঙ্গে বৌদিদি ও দাদার খোকা । বৌদিদিকে প্ৰথম দেখেই মনে হ’ল শান্ত, সরল সহিষ্ণু মেযে। তবে খুব বুদ্ধিমতী নয, একটু অগোছালো, আনাডি ধরনের। নিতান্ত পাডা গায়ের মেযে, বাইরে কোথাও বেরোয়নি বিশেষ, এই বোধ হয়। প্ৰথম, কিছু তেমন দেখে ধ নি। গরম জলের বোতল পায়ে সেঁক করতে হবে শুনে ব্যাপারটা না বুঝতে পেরে সপ্রঃ দৃষ্টিতে বিপন্ন মুখে সীতাব দিকে চেয়ে রইল। কাপড়-চোপড় পরিবার ধরনও অগোছালোআজকালকার মত নষ। বৌদিদি যেন বনে-ফোটা শুভ্ৰ কাঠমল্পিকা ফুল, তুলে এনে তোড় বেঁধে ফুলের দোকানে সাজিয়ে রাখবার জিনিস নয়। আর একেবারে অদ্ভুত ধরনেব মেয়েলী, ওর সবটুকুই নারীত্বের কমনীযতা মাখানে । সীতা আমায় আডালে বললে-চমৎকাব বৌদি হয়েচে, ছোডদা । আহা, মা যদি একটি বারও চোখ মেলে চেয়ে দেখতেন । আমাদের কপাল ! বেলা তিনটের সময় মা মারা গেলেন । যে মায়ের কথা তেমন ক’রে কোন দিন ভাবি নি, আমাদের কাজকম্মে উদ্যমে, আশায়, আকাঙ্ক্ষায়, উচ্চাভিলাষে মায়ের কোন স্থান ছিল। না, সবাই মিলে যাকে উপেক্ষা ক’রে ক’রে এসেচি এত দিন-আজি সেই মা কত দূরে কোথায় চলে গেল-সেই মায়ের অভাবে হঠাৎ আমরা অনুভব করলাম। অনেকখানি খালি হয়ে গিয়েছে। জীবনের । ঘরের মধ্যে যেমন প্ৰকাণ্ড ঘরজোড়া খাট থাকে, আজন্ম তার ওপর শুয়েচি yy 8