পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়। পরের বছর বাবাজী দেহ রাখলেন, ওই পুকুরপাড়ের তমালতলায় তাকে সমাধি দেওয়া Y司1 ক্রমে মালতীর বাবার নাম দেশময় ছডিয়ে পড়ল। গোসাঁইজনী বলতে সবাই । শার্সাইজীকে দেবতা ব’লে জানতো এ-দেশের লোক। অমন নিয়েভ, অমন অমায়িক লোক কেউ কখনও দেখে নি। শরীরে অহঙ্কার ব’লে পদার্থ ছিল না । আর আমন ক্ত মানুষ হয় না-কোন বঁাধন, কোন নিময়গণ্ডীর ধার ধারত না । আমাদের ব্লাষ্টমের সমাজেও অনেক আইন-কাচন আছে, মেনে না চললে সমাজে নিন্দে হয়, S S S DDD YSBDS DBBDS SBD YDS S K DS KBBS BuS S E LDDD SBBDB DS sBDDB থাপনভোলা, সদানন্দ, মুক্তপুরুষ ছিল। দ্বারাবাসিনী কামারদের গাডির কাজ আছে tলকাতায়, একবার তাদের বাডি কাঙালীভোজন হচ্ছে, বেশ বড়লোক তারা । কামারদের ; জকৰ্ত্তা রতনবাবু দাডিয়ে তদারক করছেন-এমন সময় দেখেন গোসাঁইজী কাঙালীদের *াবিতে পাতা পেতে বসে থাচ্ছেন । পাছে কেউ টের পায় ব’লে থামের আডালে বসেছেন। হৈ হৈ কাণ্ড, বাডিসুদ্ধ এসে হাতজোড করে দাডালো । এ.কি কাণ্ড গোস্টাইজী, আমাদের “কল্যাণ হবে যে ! লোকটা এত সরল-কোনো লম্বা-চওডা কথা নয়, কোনো উপদেশ নয়, দুলাক হয়ে বললে, তাতে দোষ কি ? আমি শুনলাম কাঙালীভোজন হবে, ভাল-মন্দ খেতে ‘াওয়া যাবে, তাই এসেছি, এই পথ দিযে যাচ্ছিলাম। সে জাত মানতো না, সমাজ মানতো ", "আপন-পর বুঝতো না, নিয়ম-কান্সনের ধার ধারতো না । কত লোক মন্ত্র নিতে আসতো। লতো-মন্ত্র কি দেবো ? “আপনাকে ভাববে সবাইয়ের চাকরি, ব্যস, এই মন্ত্র । মালতীর মা "গেই মারা গিয়েছিল। গোর্সাইজীর নিজের মরণও হ’ল স্ত্রীর মৃত্যুর তিন বছর পরে। কি দিন কোথা থেকে বুষ্ট মাথায় ভিজে আখড়ায় এলেন । তার পরদিন সকালে আমায় • লেন-উদ্ধব, কাল আমার বন্ড ঠাণ্ড লেগেছে, একটু যেন জ্বর-মত হয়েছে। আজ আর :"ত খাব না, কি বলো ? দু-দিন পরে জর নিমোনিয়ায় দাঁড়ালো। বুঝতে পেরেছিলেন সবেন না, মেয়েকে মরণের আগের দিন ডেকে বলে গেলেন-মালতী মা, তোর বিয়ে দিয়ে যতে পারলাম না, তা আমার বলা রইল যাকে তোর মন চায়, তাকেই বিয়ে করিস। তিনি তা চলে গেলেন, মালতীকে একেবারে নিঃসম্বল অসহায় ফেলে রেখে । হাতে পয়সা রাখতে *ন’তেন না। ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবতেন না-সেটা আমি গুণ বলি নে, দোষই বলি<শেষ ক’রে অত বড় মেয়ে-আর ওর কেউ নেই ত্রিসংসারে । বাপ নেই, মা নেই, পয়সা নষ্ট, বাড়ি নেই, ঘরবাডি এই আখড়া। মালতীও যে দেখছেন-ও মেয়েও পাগল, ও |াপের ধারায় গিয়েছে। লোকজনকে খাওয়াচ্ছে, সেবা করছে-ওই নিয়েই থাকে। কিছু নে না, ভয় করে না। অন্য মেয়ে হ’লে এই সব পাড়াগাঁয়ে কত বদনাম রটত-গোস্টাইজীর SOS