পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক টেনে বহুদূরের অথৈ জলে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু ওর সে-রূপ যখন-তখন দেখা যায় । কালেভদ্রে দৈবাৎ হয়ত একবার চোখে পড়তে পারে। আমি একবার মাত্র খছিলুম। সেদিন সন্ধ্যার পরে সারাদিন খররৌদ্র ও গুমন্টের পরে উত্তর-পশ্চিম কোণ থেকে মেঘ উঠে দ্বারা আকাশ জুড়ে ফেললে এবং হঠাৎ ভীষণ ঝড় উঠল। আখন্ডার বাইরের মাঠে কাঠ, ধান, লা, তুলো সব রোদে দেওয়া ছিল। কেউ তোলে নি, আখড়ায় আবার ঠিক সেই সন্ধ্যার য়টাতে লোকজন কেউ নেই। আমিও ছিলাম না । মাঠের মধ্যে বেড়াচ্ছিলাম-ঝাড় তেই দুট আখড়ায় এসে দেখি মালতী একা মহাব্যস্ত অবস্থায় জিনিসপত্র তুলছে। আমায় খে বললে-দৌডে আলোটা জেলে আনুন, অন্ধকারে কিছু কি ছাই টের পাচ্ছি-সব উড়ে

  • 可一

সঙ্গে সঙ্গে এল বৃষ্টি ••• ওকে দেখলাম নতুন চোখে । কোমরে কাপড छफूिहन्न সে একবার এখানে একবার }খানে বিদ্যুতের বেগে ছুটোছুটি করতে লাগল-অদ্ভুত কাজ করবার শক্তি-দেখতে দেখতে দৃষ্ট ঘোর অন্ধকার আর ঝড়বৃষ্টির মধ্যে ক্ষিপ্ৰ নিপুণতার সঙ্গে অৰ্দেক জিনিস তুলে দাওয়ায় নিয়ে এসে ফেললে। এদিকে আমি অন্ধকারে দেশলাই খুঁজে পাচ্ছি নে দেখে ছুটে এসে লাল-কোথায় দেশলাই রেখেছিলেন মনে আছে ? কোথা থেকে হাতন্ডে দেশলাই বার বিলে-তার পরে সেই ঝড়ের ঝাপটার মধ্যে আলো জাল-সে এক কাণ্ড! অন্ধকারে জনে মিলে অনেক চেষ্টার পরে শেষে ওরই ক্ষিপ্ৰতা ও কৌশলে আলো জ্বলিল । আলো জেলে আমার হাতে দেশলাই দিয়ে আমার মুখের অসহায় ভঙ্গীর দিকে চেয়ে গলা কমন এক ধরনের উচু ক’রে হেসে উঠল-দুটোছুটির ফলে কানের পাশের চুল আলুথালু হয়ে খের দু-পাশে পড়েছে, ফুল্ল শ্রমোজ্জল গণ্ডদেশে বিন্দু বিন্দু ঘাম। চোখে উজ্জ্বল কৌতুকের সি-দুজনে মিলে আলো ধারাচ্ছি, ওর মুখ আমার মুখের অত্যন্ত কাছে--সেই মুহূৰ্ত্তে আমি ঔর দিকে চাইলাম-আমার মনে হ’ল মালতীকে এতদিন ঠিক দেখি নি, আমি ওকে নতুন পে দেখলাম, ওর বিজয়িনী নারী রূপে। মনে হ’ল মালতী সত্যিই সুন্দরী, অপূৰ্ব সুন্দরী। --কিন্তু বেশীক্ষণ দেখার অবকাশ পেলাম না। ওর সে রূপ। "আলো জেলেই ও আবার ছুটিল। এবং আমার আনাড়ি-সাহায্যের অপেক্ষা না ক’রেই বাকী জিনিস আধা-ভেজা, আধ-শুকুনো EE BD BBBD DB LDD LD DT TDBYSSqqqSq এক দিন পুকুরে সকালের দিকে ঘড়া বুকে দিয়ে সীতার দিতে দিতে মালতী গিয়ে পড়েছে ভীর জলে । সেই সময় আমিও জলে নেমেছি । আমি জানতাম না যে ও এ-সময়ে S8w