পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগুন তিনি প্ৰজলিত রাখুন। সুদীর্ঘ যুগসমূহের মধ্যে।--শাশ্বত সময় বোপে। আমার বা-কিছু মনের শক্তি, যা-কিছু বড়, তাই দিয়ে তাকে বুঝতে চাই। গণ্ডীর মধ্যে তিনি 妆夺可可邯 পরদিন খুব ভোরে।--আখড়ার কেউ তখনও বিছানা থেকে ওঠে নি-কাউকে কিছু না জানিয়ে আমি দ্বারবাসিনীর আখড়া থেকে বেরিয়ে পড়লুম। কিসের সন্ধানে বেরিয়েছি তা আমি জানি নো-আমার সে সন্ধানের আশা আলেয়ার মত হয়ত আমাকে পথভ্ৰান্ত ক’ন্ধে থ থেকে বিপথে নিয়ে গিয়ে ফেলবে-শুধু আমি এইটুকু বুঝি যে, যে কোন গণ্ডীর মধ্যে বদ্ধ হয়ে থাকলে আমার চোখের অস্বচ্ছ দৃষ্টির সামনে তার প্রবুদ্ধমান রূপ ক্ষীণ হয়ে আসবে -আমার কাছে সেই সন্ধানই সত্য-আর সব মিথ্যে, সব ছায়া । লোচনদাসের আখড়া ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম। কোন দিকে যাব তার কিছুই ঠিক নেই। iাকাল কেটে গিয়েছে, আকাশ নিৰ্ম্মল, শরতের সাদা লঘু মেঘখণ্ড নীল আকাশ বেয়ে উড়ে লছে, মণিহারী ঘাটের কাছে গঙ্গা পার হবার সময় দেখলুম। গঙ্গার চরের কাশ-বনে কি অজস্র শফুলের মেলা ! খানিকটা রেলে খানিকটা পায়ে হেঁটে এলাম কাহলগায়ে । গঙ্গার ধারে |াির্জন স্থানটি বড় ভাল লাগল। স্টেশনের কাছেই পাহাড়, সামনে ষে-পাহাড়টা, তার ওপরে [ক-বাংলো-এখানে একটা রাত কাটালাম। ডাক-বাংলোর কাছে কি চমৎকার এক 'কার বন্যফুল ফুটেছে, জ্যোৎস্নারাত্রে তার সুগন্ধে ডাক-বাংলোর বারান্দা আমোদ ক’রে (CS এক দিন কাহলগায়ের খেয়াঘাটে শুনলাম ক্রোশখানেক দূরে গঙ্গার ধারে বটেশ্বরনাথ হাড়ে একজন সাধু থাকেন। একখানা নৌকা ভাড়া ক’রে বেরিয়ে পড়লাম। বটেশ্বরনাথ হাড় দূর থেকে দেখেই আমার মনে হ’ল এমন সুন্দর জায়গা আমি কমই দেখেছি, এখানে ন্তি ও আনন্দ পাব । গঙ্গার ধারে অনুচ্চ ছোট পাহাড়, পাহাড়ের মাথায় জঙ্গল, নানা ধরনের না গাছ, এক ধরনের হলদে-পাপড়ি বড় বড় ফুল ফুটেছে পেয়ারাগাছের মত গাছে, নাম নিনে। একটা বড় গুহা আছে পাহাড়ের দক্ষিণ দিকের ঢালুতে জঙ্গলের মধ্যে । গুহার খের কাছে প্ৰাচীন একটা বটগাছ, বড় বড় ঝুরি নেমেছে, ঘন ছায়া, পাকা বটফল তলায় পড়ে [াছে রাশি রাশি। সাধুটির সঙ্গে আলাপ হ’ল, বাড়ি ছিল তার মাদ্রাজে, কিন্তু কথাবাৰ্ত্তায় চহারায় হিন্দুস্থানী। সাধুটি খুব ভাল লোক, লম্বাচওড়া কথা নেই মুখে, বাঙালী বাৰু দেখে ব। খাতির করলেন । নিজে কাঠ কুড়িয়ে এনে চা ক’রে খাওয়ালেন, আমার সম্বন্ধে দু-একটা থা জিজ্ঞেস করলেন। বললেন-আপনি এখানে যতদিন ইচ্ছে থাকুন, এখানে খরচ খুব ম। আমি এর আগে মুন্দেরে কট্টহারিণীর ঘাটে ছিলাম, শহর বাজার জায়গা, এত খরচ è 0